নওগাঁর মান্দার চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে ওঠা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগে সত্যতা মিলেছে তদন্তে। তাই, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম শেখ। প্রধান শিক্ষক মো. ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে একটি ননএমপিও স্কুলের নামে পরীক্ষা দেয়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ আছে।
জানা গেছে, গত সোমবার পড়া না পারায় প্রতিষ্ঠানটির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছিলেন প্রধান শিক্ষক।
স্থানীয় ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে ১৪০ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ঘটনার দিন ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন ৬৫ জন। গত সোমবার তৃতীয় ঘণ্টার গণিত ক্লাসে প্রধান শিক্ষক যাওয়ার পর পড়া না হওয়ায় ৫০ থেকে ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয় ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে ক্লাস থেকে বেড়িয়ে এসে স্থানীয়দের ঘটনাটি জানায়। সেটা দেখে মোবাইল ফোনে তারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানালে তিনি বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান।
জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের নির্দেশে অভিযোগ তদন্ত করি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলো। তার প্রেক্ষিতে ঘটনার দিন সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষত-বিক্ষত শরীর দেখে ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তাই শিক্ষানীতি অনুসারে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. লুৎফর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি জানার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি দেখার কথা বলেছিলাম। তিনি ইমেইলে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। প্রতিবেদন দেখে সে মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।