মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তিকে দক্ষ ও যোগ্য হয়ে দেশে বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখতে হবে।
গতকাল রোববার প্রফেসর এম হাবিবুর রহমান হলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধিনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের এজ প্রকল্পের ‘ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্টস ট্রেনিং প্রোগ্রাম’এর ওরিয়েন্টশন ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বৃহত্তর সিলেট তথা বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার প্রসারের উদ্দেশে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি। প্রতিষ্ঠার শুরুতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তা আমাদের অগ্রযাত্রাকে শাণিত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে দক্ষ-জনবল গঠনের লক্ষ্যে এজ প্রকল্পের আওতায় ‘ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্টস কর্মসূচির জন্য সিলেটের একমাত্র প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি হিসেবে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিকে নির্বাচন করায় আমরা গর্বিত।
আমরা শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বছরব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচী আমাদের শিক্ষার্থীদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলবে বলে আমি আশাবাদি, যোগ করেন তিনি।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির পরিচালক প্রফেসর ড. এম জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আহসান হাবিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. তাহের বিল্লাল খলিফা।
প্রসঙ্গত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে দেশব্যাপী ৮০ হাজার দক্ষ-জনবল গঠনের লক্ষ্যে এজ প্রকল্পের ‘ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্টস ট্রেনিং প্রোগ্রাম’ কর্মসূচি আয়োজন করেছে। এরই অংশ হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে এ প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ বিনা খরচে পরিচালনা করছে।
বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এই যুগে কারিগরি দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। তারই ধারাবাহিকতায় এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জন করে কর্মজীবনে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।