উচ্চ শিক্ষাসহ শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে গুনগত মান অর্জন করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শনিবার (২০ মে) দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলা এবং ইংরেজি আমাদের শোনার দক্ষতা খুব কম। আমাদেরকে শেখানো হয় না। আমাদের নতুন কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করেছি। যাতে করে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে শিখতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চ শিক্ষাসহ আমরা শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে গুনগত মান অর্জন করতে চাই। শিক্ষায় রূপান্তর ঘটানোর জন্য সারা বিশ্বে যে চেষ্টা চলছে আমরা তার অগ্রভাগে আছি। ইতিমধ্যে আমরা আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম চালু করেছি। যার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা চিন্তা করতে ও সমস্যা সমাধান করতে শিখবে, তারা মননশীল হবে এবং তারা মানবিক সৃজনশীল মানুষ হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক মেধাবী।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যা শিখবেন, তা যেন প্রয়োগ করতে শিখেন। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এসে আপনার যখন এই শিক্ষা শেষ করে বেরিয়ে যাবেন, তখন আপনারা কর্মের যে জগৎ সেটা উদ্যোক্তা কিংবা চাকরিজীবী হিসেবে প্রবেশ করুন না কেন তার জন্য আপনি তৈরি কিনা। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতিত্ব সেখানেই থাকবে যদি বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে উদ্যোক্তা এবং সফল পেশাজীবী হিসেবে তৈরি করে দিতে পারে। আর এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে গতানুগতিক পাঠদান ও কারিকুলাম থেকে বেরিয়ে এসে আমরা যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি, তার উপযোগী করে পাঠদান ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মাথাপিছু আয়ে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। গত সাড়ে ১৪ বছরে মাথাপিছু আয় সাড়ে ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ ২০০৯ এর আগে মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হতে ২৪ বছর লেগেছিল। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় আমাদের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি ছিল। আর এখন আমাদের আয় তাদের চেয়ে ৪৬ শতাংশ বেশি।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. নাছিম আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. দিল আফরোজা বেগম, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর গৌতম বুদ্ধ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরীসহ সহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।