নীলফামারীর জলঢাকায় টেন্ডার বা কমিটির রেজুলেশন ছাড়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫টি বড় ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জলঢাকা পৌরশহরের উত্তর চেরেঙ্গা মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষিকা জাহানারা বেগমের নির্দেশে গাছগুলো কেটে ফেলেন শ্রমিকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাছ ৫টি কাটার পর বিদ্যালয়ের পাশের একটি জমিতে পড়ে রয়েছে। এ সময় সহকারী শিক্ষিকা জাহানারা বেগমের কাছে গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছগুলো স্কুলের, তবে আমাদের জমির সীমানায় আসায় আমার স্বামী গাছ ৫টি কেটে ফেলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রায় ৮ বছর আগে বিদ্যালয়ের জমিতেই এ গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে টেন্ডার বা রেজুলেশন অনুমোদন করার নিয়ম আছে। কিন্তু বন্ধের দিনের সুযোগ বুঝে সহকারী শিক্ষিকা জাহানারা বেগম এ কাজ করেছেন।
এ বিষয়ে উত্তর মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজুয়ারা বেগম বলেন, গাছ ৫টি প্রকৃতপক্ষে আমাদের স্কুলের জমিতেই ছিলো। যা গত দুইবার সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমির সীমানা মেপে নিশ্চিত হতে পেরেছি। আমার বাধা-নিষেধ থাকা সত্ত্বেও সহকারী শিক্ষিকা গাছগুলো কেটে ফেলেছেন। বিষয়টি আমার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল কবির রতন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।