বরগুনার বামনা উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ও একজন সহকারী শিক্ষিকাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে এলাকাবাসী। সোমবার বিকাল ৫টায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।
সন্ধ্যা ৬টায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে পুলিশের কাছে তুলে দেয় এলাকাবাসী। রাত ১১টায় বামনা থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নির্মল চন্দ্র শীল তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় এলাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্কুলসংলগ্ন জাহাঙ্গীর চৌকিদারের পুত্র আল আমিন ও স্থানীয় দোকানদার হাকিম এবং মেহেদী বলেন, আমরা বিদ্যালয়ের মাঠে এসে দেখতে পাই বিদ্যালয়ের নিচের গেটে তালা দেওয়া এবং দোতলায় লোকজন আছে বলে টের পাওয়া যায়। পরে আমরা রেলিং বেয়ে দোতলায় উঠে প্রধান শিক্ষকের রুমের জানালার ফাঁক দিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে দেখতে পাই। পরে প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে দোতলায় উঠছি কেন বলে হুমকি দেয়। আমরা এই নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলার ফাঁকে নারী শিক্ষিকা পালিয়ে যায়।
প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার মধ্যে এলাকার লোকজন জড়ো হয় এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবু সালেহ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে প্রধান শিক্ষক সুজেলেন্দ শীলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী আরও জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা মাঝে মাঝে স্কুল ছুটির পরও স্কুলে অবস্থান করেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সুজেলেন্দু জানান, ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন এবং স্কুলের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার জন্য আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।
বামনা থানার ওসি মো. বশির আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে বামনা থানায় নিয়ে আসে। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে মুচলেকা দিয়ে মুক্ত করে নিয়ে যান।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নির্মল চন্দ্র শীল জানান, আমি প্রধান শিক্ষককে থানা থেকে মুক্ত করে এনেছি। আমি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখব। সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং শিক্ষা অফিসারকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।