যশোরের মণিরামপুরে স্কুল শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় সেই যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানকে দলীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ মণিরামপুর পৌর শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত নোটিশটি রোববার দুপুরে মিজানুর রহমানের বাড়িতে পাঠানো হয়। মিজানুর রহমান মণিরামপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড (দূর্গাপুর) যুবলীগের সভাপতি।
নোটিশে বলা হয়, দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছালিমা বেগমকে ২৩ আগস্ট অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও সম্মানহানীর অভিযোগ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। যা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা করতে পারেন না। যা দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘন ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। এতে সংগঠনের ভাবমর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। গঠনতন্ত্রের ২২ (ক) অনুচ্ছেদ মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন দায়িত্ব পালন করছিলেন শিক্ষিকা ছালিমা আক্তার। হঠাৎ তিনি দেখতে পান শিক্ষকদের বেসিনে ট্যাপ খোলার চেষ্টা করছে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রাকিবুল ইসলাম। এক পর্যায়ে ছাত্রকে ট্যাপ খুলতে নিষেধ করেন। এরপর ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে নালিশ দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই শিক্ষার্থীর বাবা মিজানুর রহমান বিদ্যালয়ে আসেন এবং এ সময় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষিকা ছালিমা আক্তারকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত করেন অন্যান্য শিক্ষকরা। ওই শিক্ষিকা মিজানুর রহমানকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার মিজানুরকে পুলিশ আটক করে আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।