দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: রাজধানীসহ দেশের বড় অংশজুড়ে দেখা মিলছে না সূর্যের। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া ভোগান্তি বাড়িয়েছে মানুষের। তবে আগের কয়েক দিনের তুলনায় গতকাল বুধবার রাজধানীসহ কয়েক জায়গায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও বাগড়া দিয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের অনুভূতি কমছে না শিগগির জানুয়ারির শেষ দিকে বৃষ্টি হবে, শীত বাড়বে এমন পূর্বাভাস অবশ্য আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। সরকারি এই দপ্তরটি জানিয়েছিল, মধ্য জানুয়ারির পর দেশে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হতে পারে বৃষ্টি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সারা দেশে তীব্র শীতের প্রধান কারণ হলো দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়া। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এলে শীত বেশি অনুভূত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েক দিনের তুলনায় দিনের সঙ্গে রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য সামান্য বেড়েছে। তবে তাতে শীতের অনুভূতি এখনই কমছে না। এমন পরিস্থিতি আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এরপর তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।’
বৃষ্টি থামার পর তাপমাত্রা আরও কমতে পারে উল্লেখ করে বজলুর রশিদ বলেন, ‘আজ (গতকাল বুধবার) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। আজ-কালকের মধ্যেই বৃষ্টির প্রবণতা কমে যাবে। এরপর থেকে আবার তাপমাত্রা কমতে পারে। সব মিলিয়ে জানুয়ারি জুড়েই শীতের প্রকোপ থাকতে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের গতকালের তথ্য অনুযায়ী, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ দেশের ১৮ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত মঙ্গলবার ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে দিনে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা সামন্য হ্রাস পেতে পারে।