মেট্রোরেলের টিকিট নগদ টাকায় কাটতে হবে যাত্রীদের। অনলাইন, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা অন্য কোনো উপায়ে টিকিট কাটার সুযোগ শুরুতে থাকছে না। তবে পরবর্তী সময়ে সব ধরনের আধুনিক সিস্টেম চালু করা হবে বলে মেট্রোরেল প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া শুরুতে শুধু সকাল ও বিকেলে ট্রেন চালু রাখা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এমআরটি লাইন-৬-এর ডিপিএম মাহফুজুর রহমান বলেন, শুরুতে নগদ টাকায় যাত্রীদের টিকিট কাটতে হবে। মেট্রোরেলে যেহেতু আধুনিক সব ব্যবস্থা থাকছে, এ কারণে ভবিষ্যতে সব ধরনের আধুনিক লেনদেন চালু করা হবে। অর্থাৎ তখন মোবাইল ব্যাংকিং, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে টিকিট কাটার সুযোগ তৈরি হবে।
মাহফুজুর রহমান বলেন, ১২টি ট্রেন প্রস্তুত থাকবে। কয়টি শুরুতে চলবে, সেটি অপারেশন বিভাগ ঠিক করবে। সাধারণত চার মিনিট পরপর ট্রেন চলার কথা। কিন্তু যাত্রীদের অভ্যস্ত করতে শুরুতে সকাল ও বিকেলে ট্রেন চালু রাখা হবে বলে তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক সভায় বলেছেন। জনগণ অভ্যস্ত হয়ে পড়লে তখন সব ট্রেন চালু করা হবে। তবে এসব বিষয় পরিচালক অপারেশন সব বলতে পারবেন। জানতে চাইলে পরিচালক (অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ) নাসির উদ্দিন আহমেদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জানা গেছে, মেট্রোরেলে ভাড়ার অতিরিক্ত ভ্রমণের কোনো সুযোগ থাকছে না। মেট্রোরেলের স্টেশনে ঢুকতেই চোখে পড়বে টিকিট কাউন্টার। যাত্রীরা একক যাত্রার টিকিটের পাশাপাশি নিতে পারবেন স্থায়ী টিকিট। বুথে টিকিট না পেলেও থাকবে আলাদা কাউন্টার, যেখান থেকে সংগ্রহ করা যাবে টিকিট।
কেউ বাড়তি ভ্রমণ করতে চাইলে যাত্রী স্টেশন দিয়ে বের হতে পারবেন না। নির্দিষ্ট কাউন্টারে গিয়ে প্রয়োজনীয় টাকা পরিশোধের পরই খুলবে বের হওয়ার দরজা।