গণআন্দোলনের মুখে দেশ ত্যাগ করা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছে যুক্তরাজ্যের কাছে। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটি জানিয়েছে, ব্রিটিশ অভিবাসন আইন আশ্রয় বা অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য সেই দেশে ভ্রমণের অনুমতি দেয় না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত মাসে ভূমিধসে জয়ে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে জয় পায় লেবার পার্টি। দেশটির নবগঠিত সরকার বলছে, যুক্তরাজ্যের প্রয়োজন এমন লোকদের সুরক্ষা দেয়া যার একটি গর্বিত রেকর্ড রয়েছে। তবে, কারও আশ্রয় বা অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের অনুমতি কোনো বিধান নেই। যাদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রয়োজন তাঁরা যে নিরাপদ দেশে প্রথমে পৌঁছায় সেখানেই আবেদন করা উচিত।
তবুও বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, যুক্তরাজ্যের শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয়ের একটি আনুষ্ঠানিক আবেদন প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার গণআন্দোলনের মুখে পড়ে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পরে তিনি ও তাঁর বোন শেখ রেহানা দেশত্যাগ করেন। শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের দিল্লি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে অবতরণ করেন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
হাসিনা পদত্যাগ করার পরপরই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা জানান।