সোমবার দুপুরে বোন রেহানাকে নিয়ে ঢাকার বাসভবন তথা গণভবন ছেড়েছিলেন হাসিনা। সন্ধ্যা নাগাদ তিনি ভারতে আসেন। দিল্লি লাগোয়া গাজ়িয়াবাদের হিন্দন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নামে তাঁর বিমান।
বর্তমানে তিনি ভারতে গোপন আস্তানায় আছেন। তবে তাঁর পরবর্তী গন্তব্য কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে। বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রের দাবি, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটেনের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তবে এখনও সে দেশের সরকারের তরফে কোনও সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। কিন্তু হাসিনার পুত্র সাজিব ওয়াজিদ জয়ের দাবি, তাঁর মা কোনও দেশেই আশ্রয় চাননি।
হাসিনার আশ্রয় চাওয়া নিয়ে একাধিক জল্পনার কথা ঘুরছে। কিছু সূত্রে দাবি করা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ব্রিটেনে যেতে পারেন। আবার কোনও সূত্র বলছে, হাসিনার আমেরিকায় যাওয়ার পথ বন্ধ হয়েছে। আমেরিকা নাকি তাঁর ভিসা প্রত্যাহার করেছে। এমনকি, ফিনল্যান্ড-সহ বেশ কয়েকটি দেশের নামও উঠে আসছে এই আলোচনায়। তবে এই সব জল্পনা নস্যাৎ করে করে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাসিনা-পুত্র জয় বলেন, ‘‘মায়ের আশ্রয়ের অনুরোধ সম্পর্কিত যে সব প্রতিবেদন ছাপা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। তিনি কোথাও আশ্রয়ের জন্য অনুরোধ করেননি। তাই ব্রিটেন বা আমেরিকার তরফে আশ্রয়ের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ও অসত্য।’’ জয় আরো দাবি করেন, তাঁর মায়ের আশ্রয় নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কোনও রকম আলোচনাও হয়নি।
হাসিনা আর রাজনীতিতে থাকবেন না, তা প্রথম জানিয়েছিলেন তাঁর পুত্রই। লাগাতার আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা এবং তার পর দেশ ছাড়ার পর থেকেই হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জয় দাবি করেন, তাঁর মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। এত পরিশ্রম করার পরেও যে ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন হল, তাতে তিনি (হাসিনা) অত্যন্ত হতাশ এবং বীতশ্রদ্ধ।