দেশ থেকে পালানোর পর বর্তমান ভারতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে সেখানে অবস্থানরত শেখ হাসিনার চূড়ান্ত গন্তব্য কোথায় হবে, সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো রয়ে গেছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের দরজা আপাতত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি এখন অন্যান্য বিকল্প খুঁজছেন।
বুধবার ভারতের গণমাধ্যম দ্য হিন্দু ও টাইমস অব ইন্ডিয়া এই তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের গণমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন শেখ হাসিনা।
যার ফলে তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবছেন।
তবে শেখ হাসিনা 'কোথাও আশ্রয়' চাননি বলে জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। এনডিটিভিকে এ কথা বলেন তিনি।
জয় আরো বলেন, আমি ওয়াশিংটনে, খালা লন্ডনে, বোন দিল্লিতে থাকে। আমরা এখনো জানি না- তিনি এসব জায়গায় ভ্রমণের মধ্যে থাকতে পারেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছেন যেসব দেশে হাসিনার পরিবারের সদস্যরা থাকেন, সেখানে ভ্রমণ করতে পারেন, যেমন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড ও ভারত।
মঙ্গলবার সিএনএনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিউজ ১৮ বাংলাদেশের বিরোধীদলের সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে এই দাবির সত্যতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
ভারতের কর্মকর্তারা জানান, অল্প সময়ের নোটিশে ঢাকা ছেড়ে আসা হাসিনাকে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে নয়াদিল্লি।
শেখ হাসিনা দিল্লিতে, যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া নিয়ে যে জটিলতা
কর্মকর্তারা আরও জানান, হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকে একটি 'সেফহাউসে' রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভারতের রাজ্যসভা ও লোকসভায় দেওয়া বক্তব্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, ভারতের সঙ্গে ঢাকা কতৃপক্ষের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনের সঙ্গে দেশটিতে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের যোগাযোগ চলছে।
মঙ্গলবার জানা গেছে, আরও কয়েকদিন ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা। তবে কতদিন পর্যন্ত তাকে থাকার অনুমতি দেবে নয়াদিল্লি, তা জানা যায়নি।