ফরিদপুরের মধুখালীতে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আটকে নির্যাতনের শিকার সেই বাবা-ছেলের বর্তমান অবস্থা সরজমিনে দেখতে তাদের বাসায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার।
শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মাঝকান্দিতে ইয়ামিন মৃধা ও তার পরিবারের বসবাসের ভাড়া বাসা পরিদর্শন করে তাদের খোঁজখবর নেন ডিসি।
এ সময় ডিসির পক্ষ থেকে ইয়ামিন ও তার পরিবারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং তাদের হাতে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা ও চাল, ডাল, তেল, লবনসহ বেশকিছু ফল উপহার তুলে দেন।
আরও পড়ুন : বিদ্যালয়ের কক্ষে বাবা-ছেলেকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল
ডিসি কামরুল আহসান এসময় তাদের দুরাবস্থার খবর জানতে পেরে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এছাড়া মধুমতি নদী ভাঙনের শিকার হয়ে মাঝকান্দিতে ভাড়া বাসায় বসবাসরত এই পরিবারটিকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুই শতাংশ জমিসহ ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন ডিসি। তিনি ইয়ামিনের সন্তানদের পড়াশোনার দেখভালের দায়িত্ব নেওয়ারও আশ্বাস দেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াছিন কবীর, মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী, জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সামছুল আলম বাচ্চু, রায়পুর ইউপির চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন মিয়াসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ মধুখালীর জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে ইয়ামিন মৃধা (৪০) ও তার ছেলে রাজন মৃধাকে (১৫) মারধর ও নির্মম নির্যাতন করা হয়। এরপর নির্যাতনের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হননি এ ঘটনার মূলহোতা স্কুল শিক্ষিকা ইশরাত জাহান লিপি ও তার সহযোগী রুমা। আর মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও ইতোমধ্যে তিনি জামিনে বেড়িয়ে গেছেন। অন্যদিকে নির্যাতনের শিকার ছেলে রাজন ঘটনার পর মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখনও সংশোধনাগারে রয়েছে বলে জানা গেছে।