নেত্রকোনার আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে মদপানের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে সচেতন মহলে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
গত শনিবার শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় সহকারী শিক্ষক আল মামুনকে। বিদ্যালয়ের অন্য কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে নিয়ে তিনি মিছিল করে মোক্তারপাড়া মুক্তমঞ্চে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। এরই মধ্যে বিএনসিসির তিন-চারজন শিক্ষার্থী পিয়ন লাল মিয়ার কাছ থেকে একটি শ্রেণিকক্ষের চাবি নিয়ে সেখানে বসে মদপান করে মাতলামি শুরু করে। বিষয়টি জানাজানির পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, কোনো শিক্ষার্থী নেই। প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা। সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুস সবুর তাঁর কক্ষে বসে আছেন। শিক্ষক মিলনায়তনে কয়েকজন শিক্ষক বসে আছেন। শিক্ষক আবদুস সবুর জানান, প্রধান শিক্ষক প্রশিক্ষণে আছেন।
বিদ্যালয়ের পিয়ন লাল মিয়া বলেন, ‘আমি পিয়নের চাকরি করি। আমাকে সবার কথা শুনতে হয়। আমার কাছে চাবি থাকে, স্যাররা চাইলে চাবি দিতে হয়। ওইদিনও চাবি দিয়েছিলাম। পরে ছাত্ররা শ্রেণিকক্ষে বসে কী করেছে বিষয়টি আমি জানি না।’
সহকারী শিক্ষক আল মামুন বলেন, ‘শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালনের বিষয়ে আমার ওপর দায়িত্ব ছিল না। দিবসটি উপলক্ষে ব্যানার ও ফুলের তোড়া আনার জন্য আমি দায়িত্বে ছিলাম। কয়েকজন শিক্ষক মিলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিছিল নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাই। বিদ্যালয়ের ভেতর কী হয়েছে, আমার জানা নেই।’ সহকারী প্রধান শিক্ষক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুস সবুরের ভাষ্য, বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী মদপান করেছে বলে শুনেছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক প্রশিক্ষণে আছেন। বিদ্যালয়ে যোগদানের পর ব্যবস্থা নেবেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা খাতুন জানান, শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে বিদ্যালয়ে যোগদানের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।