নিউজ আর্টিকেল লিখতে ও গবেষণায় সাহায্য করার জন্য সাংবাদিকদের জন্য নতুন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-সমৃদ্ধ টুল নিয়ে আসছে গুগল। গত কয়েক বছর ধরেই চলছে ছাঁটাই, তার মধ্যেই এমন প্রযুক্তির খবরে শঙ্কিত মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি।
ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক টেক জায়ান্ট গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুল ব্যবহার করে বিকল্প শিরোনাম, লেখার স্টাইলের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সাহায্য করার জন্য গুগল বিভিন্ন আউটলেটের সঙ্গে কাজ করছে।
গুগলের মুখপাত্র জেন ক্রাইডার একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রতিবেদন তৈরি এবং সত্যতা নিশ্চিতে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এই প্রযুক্তি ছিনিয়ে নিতে পারবে না। নতুন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদ্দেশ্যও তা নয়। আমাদের লক্ষ্য হলো সাংবাদিকদের এই উদীয়মান প্রযুক্তিগুলো এমনভাবে ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া, যা তাদের কাজের গতি ও উৎপাদনশীলতা বাড়ায়।’
তবে এই বক্তব্যে সাংকাদিকদের শঙ্কা কাটছে না, বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত প্ল্যাটফর্মগুলোর ঝুঁকি ও সুবিধাগুলো সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান বিতর্ককে আরও বাড়িয়ে দেবে। এ ছাড়া এটি ব্যবহারে সাংবাদিকদের সৃজনশীলতাও হয়তো কমিয়ে দেবে।
জিমেইল ও গুগল ডক্স ব্যবহারকারীদেরও একই প্রযুক্তিগত সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কোম্পানিটির এই প্রচেষ্টা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ক্রাইডার বলেন, ‘এই প্রযুক্তি সাংবাদিকদের বিকল্প নয় বা তাদের ভূমিকাও কমাবে না।’
তবে এই উন্নয়ন চ্যাটজিপিটির মতো এআই চালিত প্ল্যাটফর্মগুলোর ঝুঁকি ও সুবিধা সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান বিতর্ককে উসকে দেবে। কারণ এগুলো এরই মধ্যে কপিরাইট লঙ্ঘন, ভুল তথ্য ও মানবকর্মীদের প্রতিস্থাপনের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিশ্বজুড়েই মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে সংকট চলছে। কারণে প্রিন্ট মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। এতে চাকরি হারাচ্ছেন শত শত সাংবাদিক। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম পাঁচ মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ রুমগুলো থেকে ১৭ হাজারের বেশি চাকরি হারিয়েছেন।
কিছু মিডিয়া সংস্থা ইতিমধ্যেই জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করতে শুরু করেছে। তবে নির্ভুলতা, চুরি ও কপিরাইট নিয়ে উদ্বেগের কারণে, সংবাদ বা প্রতিবেদন লেখার ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহার ধীরগতিতে আছে।