দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: সদরঘাটে ভেড়াতে আসা একটি লঞ্চের ধাক্কায় আরেক লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গিয়ে ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন নারী, তিনজন পুরুষ এবং এক শিশু রয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো একজন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে নিহতদের মধ্যে একই পরিবারে রয়েছেন তিনজন। এরা হলেন, মাইশা (৩), মুক্তা (২৩) ও মো. বেল্লাল (২৬)। মুক্তা ও বেল্লাল স্বামী-স্ত্রী। আর মাইশা তাদের তিন বছর বয়সী মেয়ে। তাদের বাড়ি পিরোজপুরে।
বাকি দুজন হলেন, রিপন হাওলাদার (৩৮) ও রবিউল (১৯)। রিপন হাওলাদারের বাড়ি পটুয়াখালী। তিনি রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় থাকতেন। এছাড়া রবিউলের বাড়ি ঠাকুরগাঁও।
জানা যায়, সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামের দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে বাঁধা ছিলো। বিকেলে এ দু’টি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ পন্টুনে ঢোকানোর সময় এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে লঞ্চে ওঠার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের সারেং শেখ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা গেছেন। আহত হয়েছে কয়েকজন।
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সদরঘাট ট্রাফিক জোনের যুগ্ম কমিশনার জয়নাল আবেদীন।
এদিকে এ ঘটনায় শোক শোক জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী এক শোকবার্তায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
এবং এ ঘটনায় যদি কেউ দায়ী থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-ভোলা রুটের এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চে উঠছিলেন পাঁচ যাত্রী।
পরে আহতদের উদ্ধার করে সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতদের মধ্যে একজন নারী, তিনজন পুরুষ এবং এক শিশু রয়েছে বলেও জানান তিনি।