নওগাঁ মেডিকেল কলেজে নতুন নিয়োগ পাওয়া এনটামি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কান্তা রায় রিমিকে অপসারণের দাবিতে ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। তাকে অপসারণ না করা হলে তাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ডা. কান্তা রায় রিমিকে অপসারণের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নতুন নিয়োগ পাওয়া এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কান্তা রায় রিমি ফ্যাসিস্টের দোসর এবং বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ১১ নভেম্বর জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে ডা. কান্তা রায় রিমিকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে পদায়ন করা হয়।
এর আগে ডা. কান্তা রায় রিমি রংপুর এবং দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে দিনাজপুর মেডিকেল কলজে পদায়ন করা হয়।
নওগাঁ মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নাফি বলেন, আমাদের এই মেডিকেলে ডা. কান্তা রায় রিমি নামে একজন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যার নানা অপকর্মের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল থেকে তাকে অপসারণ করা হয়েছে। আমরা তার মতো একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। নওগাঁ মেডিকেল কলেজে যেন তাকে কোনোভাবে যোগাযোগদান করতে না দেওয়া হয় সে দাবিতে আমরা একত্রিত হয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো প্রকার ক্লাস এবং পরীক্ষায় বসব না।
নওগাঁ মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ হক সরকার বলেন, বারবার নওগাঁ মেডিকেল কলেজেই কেন ফ্যাসিস্টের দোসরদেরকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে আমার সেইটা বোধগম্য হচ্ছে না। আমরা নওগাঁ মেডিকেল কলেজে কোন ফ্যাসিস্টের দোসরকে দেখতে চাই না।
সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. পিযুষ কুমার কুন্ড বলেন, ডা. কান্তা রায় রিমি এনাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করার জন্য আসেন। শিক্ষার্থীরা তার যোগদানের ব্যপারে আপত্তি জানিয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তার যোগদান আমরা এখানে আর নিচ্ছি না। অধ্যক্ষের কথায় আশ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।