সদ্য ভূমিষ্ঠ ছেলেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগে বাবা ও ক্রেতাকে শনিবার জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ মামলার অন্য দুই আসামি জেসমিন ও বাবলি। তারাও এই অবৈধ কাজে জড়িত।
শিশুর বাবা বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কমলেশ্বরদী গ্রামের ইদ্রিস শেখের ছেলে রবিউল শেখ ও শিশুটির ক্রেতা বাবুল মিয়া।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় শিশু চুরির অভিযোগ করেন শিশুটির মামা দাউদ খালাসি। শুক্রবার অভিযোগটি মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়।
শিশুর মা সারমিনের একটাই দাবি, তার পাষণ্ড স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। তিনি বলেন, স্বামী, শ্বশুর ও সতিন মিলে তাকে গর্ভবতী অবস্থায় মারধর করে মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তারা জোর করে সিজার করান। এর আগে ইনজেকশন দিয়ে আমার কাছ থেকে কাগজে সই নেন। অপারেশনের আগে এক নার্স আমাকে বলেন, ‘আপনি বাচ্চা বিক্রি করবেন কেন।’ সন্তানকে একবারের বেশি চোখে দেখিনি।” সন্তানকে ফিরে পেতে চান তিনি।
শিশুটির মামা দাউদ খালাসী জানান, তার বোনের সংসারে তিন বছরের মেয়ে রয়েছে। রবিউল ছয় মাস আগে আরেকটি বিয়ে করেন। সতিনকে মেনে নিয়ে নানা দুঃখ-যন্ত্রণা সহ্য করে তার বোন একই বাড়িতে সংসার করছেন। এরপরও রবিউল, তার দ্বিতীয় স্ত্রী নারগিস ও বাবা ইদ্রিস শেখ তার বোনকে নানা নির্যাতন করেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল বলেন, ৮ জুন মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রবিউলের স্ত্রী সারমিন আক্তার ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটির অবস্থা জটিল থাকায় তাকে ফরিদপুর জায়েদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখান থেকে রবিউল তার সন্তানকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন নিঃসন্তান বাবুল মিয়ার কাছে। শিশুটির মামা অভিযোগ দিলে বাবা রবিউল ও ক্রেতা বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিশুটি এখন ঢাকা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।