বরগুনার আমতলী উপজেলার কৃতি সন্তান বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিনের (৩৭) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বিকেলে জানাজা শেষে চুনাখালী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাকে।
জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিন মিড ক্যারিয়ার প্রশিক্ষণে গত ৬ জুন ভারতের মুশরি লালবাহাদুর শাস্ত্রি প্রশাসনিক একাডেমিতে যান। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১ টায় প্রশিক্ষণরত অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
সোমবার সকালে বিমানে মরহুমের মরদেহ ঢাকায় আসে। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১ টায় হেলিকপ্টারে তার মরদেহ কর্মস্থল বাউফল নিয়ে আসা হয়। ওইখানে হাজার হাজার মানুষ তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান। পরে বাউফল পাবলিক মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মরহুমের মরদেহ আমতলী উপজেলার চুনাখালী গ্রামে নিয়ে আসা হয়। এখনে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যান বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম মাস্টার ও তার মা আলেয়া বেগম। তিন বছরের যমজ দুই কন্যা শিশু শুধু তাকিয়ে ছিলো বাবার দিকে তাকিয়ে থাকে। স্ত্রী বুশরা ইসলাম সারাহ স্বামীকে হারিয়ে পাগল প্রায়। প্রায়াত ইউএনও আল আমিনের বিদ্যাপীঠ চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতীয় হাই কমিশনের সেকেন্ড হাই কমিশনার সানদ্বীপ কুমার। জানাজায় নামাজে অংশ নেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম, বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাদের মিয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, ওসি এ কে এম মিজানুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।