সব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ না করার কারণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘স্কুল করার একটা নিয়ম আছে। অনেকে সেই নিয়ম মানেননি। যেখানে সেখানে যখন তখন একটা স্কুল খুলে ফেলেছেন। হয়তো ছাত্র-ছাত্রীই নাই সেখানে। এরকমও আছে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে শিক্ষকের সংখ্যাও বেশি। নিয়মটা স্কুল এবং মাদরাসা সবার জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য।’
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের দশম (মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ) অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার সবাইকে শিক্ষা নীতিমালার মধ্যে আনার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। কারণ সরকার চায় দেশ আরও এগিয়ে যাক।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে অটোপ্রমোশনে দেশব্যাপী সৃষ্ট মিশ্র প্রতিক্রিয়াতেও নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন:
শিক্ষাব্যবস্থা পুরোটা সরকারি হতে হবে এমন কোন কথা নেই : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণে এন আই খানের পাঁচ পরামর্শ
তিনি বলেন, ‘অটোপ্রমোশনের ব্যাপারে আমি বলবো- আগেতো আমাদের সেমিস্টার সিস্টেম ছিলনা। আমি প্রথমবার সরকারে এসে এই সেমিস্টার সিস্টেম চালু করি। কাজেই সারা বছর তারা যে পরীক্ষা দিয়েছে সেটার ভিত্তিতেই একটা রেজাল্ট দেয়া। এটাতো ইংল্যান্ডও দিয়েছে, পৃথিবীর অনেক দেশই দিয়েছে। এতে খুব বেশি একটা ক্ষতি হয়, তা নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারপরেতো স্কুল খুলবে, পড়বে, পরীক্ষা দেবে যারা টিকে থাকবে। নইলে আবার পরীক্ষা দেবে। সে সুযোগতো রয়েছে। কাজেই একটা অটোপ্রমোশনে খুব যে বেশি ক্ষতি হয়ে গেল, এটা কিন্তু ঠিক নয়।’
তিনি উদাহারণ দিয়ে বলেন, একদিন বসে লিখে পাস করেও সে পাসই পাস আর সারাবছর পরীক্ষা দিয়ে যে রেজাল্ট সে রেজাল্ট কিছু না এটাতো হতে পারেনা। বরং সেইভাবে যদি সারাবছরের রেজাল্ট একসঙ্গে করে প্রমোশন দিয়ে দেয়া যায় তাহলেওতো আমি মনে করি তাঁদের মেধার পরিচয়টা পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে বলেন,‘আরো ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায় তাতে।’
শিক্ষাব্যবস্থা পুরোটা সরকারি হতে হবে এমন কোন কথা নেই :
এর আগে গত ২১ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাব্যবস্থা পুরোটাই সরকারি হতে হবে এমন কোন কথা নেই।
টকশোতে সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির যে জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে, আমাদের আর্থিক প্রবৃদ্ধি যে জায়গায় আছে তাতে তো শিক্ষা ব্যবস্থার পুরোটায় জাতীয়করণ করা সম্ভব। আপনি কি মনে করেন? কাউকে জাতীয়করণ করবেন, কাউকে করবেন না এই বৈষম্য তো চলতে পারে না।”
এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন,“‘আমরা বলেছি আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করবো। আমরা সেটা করেছি। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন ৩৭ হাজার স্কুল সরকারিকরণ দিয়ে বাকিটা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা করেছেন। আমাদের মাধ্যমিকের প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই বেসরকারি। সবগুলোকে সরকারি করা খুবই বড় ব্যাপার। পুরোটাই সরকারি হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বেসরকারি যারা আছে সেখানেও কিন্তু পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ আছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন দেয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবন করে দেয়া, শিক্ষার্থীদের বই দেয়া, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া, ল্যাব দেয়া সব দায়িত্ব কিন্তু সরকারের।”
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।