নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার এক স্কুলছাত্রকে পেটানোর অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির বিরুদ্ধে তদন্তে শুরু করেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
জানা গেছে, জেলার মহাদেবপুর উপজের জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি হাসান আলীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ১ জুন দৈনিক শিক্ষা ডটকমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। গত ৪ জুন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এ নির্দেশনা পাওয়ার পর গত ১২ জুন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রহুল আমিন তদন্ত যাওয়ার চিঠি দিয়েছেন। আগামী রোববার সকাল ১১ টার সময় তদন্তে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য বলেছেন ওই কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গত ৩১ মে বিদ্যালয়ের সভাপতি হাসান আলী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ব্যক্তি আক্রোশের জেরে আমার ছেলেকে মেরে আহত করেন। পরে তাকে মহাদেবপুর সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানোর পর আমি বিদ্যালয়ের কমিটি এবং শিক্ষকদের বিষয়টি জানাই। তারা পরের দিন বিদ্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনার একপর্যায়ে আমি সভাপতির কাছে আমার ছেলেকে মারার কারণ জানতে চাইলে সভাপতি আমাকে উল্টাপাল্টা কথা বলেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে আমাকে মারার জন্য ‘চায়না স্টিক’ নিয়ে তেড়ে আসে। আমি দৌড়ে আমার জীবন রক্ষা করি। সভাপতির এ ধরণের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক কেউ নিরাপদ নই। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পাঠানো চিঠি তিনটি আমি পেয়েছি। সেই চিঠি আমি ওই শিক্ষার্থীর বাবাকে ও সভাপতিকে দিয়েছি।
জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হাসান আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ওই শিক্ষার্থী ছাত্রীদের ইভটিজিং করেছে, তাই তাকে ৮ থেকে ৯টি আঘাত করেছি। স্কুলের সভাপতি হিসেবে নয় বরং তার বড় ভাই হিসাবে তাকে শাসন করেছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দৈনিক শিক্ষাডটকমে প্রকাশিত সংবাদ আমি দেখেছি। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। সেই মোতাবেক অভিযুক্ত সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলেছি। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।