তারাগঞ্জ উপজেলায় লক্ষীপুর বিড়াবাড়ি হাট মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ের ৩টি পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য অগ্রিম ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির এক অভিভাবক সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি লক্ষীপুর বিড়াবাড়ী হাট মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই বিদ্যালয়ের ৩টি পদের মধ্যে একটি অফিস সহায়ক, একটি আয়া এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকে প্রত্যেকটি পদের জন্য ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত রফাদফা করে শুরু হয় নিয়োগ বাণিজ্য।
বিদ্যালয় সভাপতি ইদ্রিস উদ্দিন প্রামাণিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ায় তিনি বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালেকের সঙ্গে আঁতাত করে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেয়ার জন্য জিয়ারুলের নিকট থেকে ৭ লাখ টাকা, আয়া পদের জন্য ইকরচালি দোহাজারী কাপড়িয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে লতার নিকট থেকে ৫ লাখ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে ইকরচালি লক্ষীপুর গ্রামের ময়নুদ্দিনের ছেলে মাহাবুলের নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন।
বিদ্যালয় সভাপতি ও স্থানীয় ইকরচালি ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস উদ্দিন প্রামাণিক জানান, কে অভিযোগ করেছে আমার জানা নাই। মানুষ ভাত খাবার পায় না ফির ৩০ লাখ টাকা দেয়, অভিযোগটি নিয়ে আসেন এমন কথা বলে মোবাইল সংযোগ কেটে দেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেহেনা বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।