সমন্বয়ক পরিচয়ে একটা অসাধু চক্র সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এমনকি তারা এ পরিচয়ে অনেক টাকা চাঁদা তুলেছেন। কিন্তু আমরা জানিয়ে দিতে চাই এ রকম কোনো উদ্যোগ সমন্বয়ক পরিষদ থেকে নেয়া হয়নি।
সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেশকাত মিশু।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এই কর্মসূচি করার কারণ হলো সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ যাতে সুবিধা নিতে না পারে। আমরা দেখেছি আপনারা প্রয়োজন না থাকা না সত্ত্বেও সড়কগুলোর বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকেন। এখন থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বাজার মনিটরিং এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পাহারা থেকে আপনারা সরে যাবেন। শুধুমাত্র রাত্রিকালীন প্রয়োজন সাপেক্ষে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ১০ জনের মতো শিক্ষার্থী অবস্থান নিতে পারেন। তবে অবশ্যই আইডি কার্ড সঙ্গে রাখবেন।
এ ছাড়া রাজশাহী মহানগর এবং জেলায় সব ধরনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বাজার মনিটরিং এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পাহারা থেকে সরে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। পুলিশ এবং প্রশাসন দায়িত্বে ফিরে এসেছে। তাই সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তাদের নেয়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিন্ধান্ত হলো-রাজশাহী মহানগর এবং জেলায় সব ধরনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বাজার মনিটরিং এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পাহারা থেকে শিক্ষার্থীরা সরে যাবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে পুলিশকে সর্বাত্মক সহায়তা করা যেতে পারে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীতে কেন্দ্র ঘোষিত সমন্বয়ক পরিষদ ছাড়া কোনো ধরনের সমন্বয়ক নেই। রাবি পরিষদসহ ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে যেকোনো ব্যাক্তির আর্থিক লেনদেন, সুবিধা প্রদান কিংবা ক্ষমতা চর্চার সব ধরনের সুযোগ প্রতিহত করার আহ্বান জানাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিয়মিত আন্দোলনের বাইরে রাজশাহী জেলা ও মহানগরের অন্যান্য কার্যক্রম আপাতত স্থগিত থাকবে।