সরকারিকরণের দাবিতে শিক্ষকদের ‘আমরণ’ অনশন যেমন হলো - দৈনিকশিক্ষা

সরকারিকরণের দাবিতে শিক্ষকদের ‘আমরণ’ অনশন যেমন হলো

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবিতে ‘আমরণ’ অনশন শুরু করেছেন শিক্ষকরা। বুধবার সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকরা অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। তবে, সন্ধ্যায় তারা কর্মসূচির স্থান ছেড়ে চলে যান। শিক্ষক নেতারা বলছেন, বৃহস্পতিবার সকালে ফের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘আমরণ’ অনশন শুরু হবে। রাতে অবস্থানের অনুমতি না পাওয়ায় তারা ফিরে গেছেন।

বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট নামের একটি মোর্চার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

বুধবার সন্ধ্যায় জানা যায়, শিক্ষকরা ‘আমরণ’ অনশনরত শিক্ষকরা কর্মসূচি থেকে সরে গেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহাজোটের যুগ্ম সদস্য সচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, রাতে ওখানে (জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে) থাকার  পারমিশন দেয়া হচ্ছে না। আমরা তাই ফিরে এসেছি। বৃহস্পতিবার সকালে ফের অনশন শুরু হবে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা স্থান পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। শাহবাগ বা শহীদ মিনারে কর্মসূচি স্থানান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে। 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থা কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা। তখন লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হলেও সকাল-সন্ধ্যা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন মহাজোট নেতারা। গত ৮ মার্চ অবস্থান কর্মসূচির ১৩তম দিনে আমরণ অনশন, প্রতীকী অনশন ও কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। গত ৯ থেকে ১৪ মার্চ সরকারিকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতীকী অনশন পালন করা হয়। ১২ ও ১৩ মার্চ মহাজোটের ব্যানারে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়। আজ বুধবার থেকে সকাল-সন্ধ্যা ‘আমরণ’ অনশন শুরু করেছেন মহাজোট নেতারা। 

সরকারিকরণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম সিলেবাস, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা পান ২৫ শতাংশ। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনও দেয়া হয় না এবং বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি করা হলে এ বৈষম্য নিরসন হবে বলে দাবি শিক্ষকদের। তাই শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়, জমানো টাকা সরকারি কোষাগারে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবি জানাচ্ছেন। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল   SUBSCRIBE   করতে ক্লিক করুন।

শিক্ষার্থীদের রাজাকার শ্লোগান লজ্জার: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের রাজাকার শ্লোগান লজ্জার: প্রধানমন্ত্রী কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত উপহার দিলেই এমপিওভুক্তি! - dainik shiksha উপহার দিলেই এমপিওভুক্তি! কোচিং বাণিজ্যে জড়িত পিএসসির আরো ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী - dainik shiksha কোচিং বাণিজ্যে জড়িত পিএসসির আরো ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাবির জরুরি বৈঠকে প্রভোস্ট কমিটির পাঁচ সিদ্ধান্ত - dainik shiksha ঢাবির জরুরি বৈঠকে প্রভোস্ট কমিটির পাঁচ সিদ্ধান্ত কোটার পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনকারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আজ - dainik shiksha কোটার পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনকারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আজ শিক্ষামন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ - dainik shiksha শিক্ষামন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে - dainik shiksha র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0070140361785889