সরকারি করা ৩৩৩টি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্যাডার মর্যাদা পুনর্বহাল, পদসোপান তৈরি, বঞ্চিত প্রভাষকদের ৬ষ্ঠ গ্রেডে উন্নীত, বদলিসহ আট দাবি জানিয়েছে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী গ্রেড সুরক্ষা কমিটির নেতারা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান তারা।
সংগঠনের আহব্বায়ক মো. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. সাজেদুর রহমান লিটু সঞ্চালনা করেন।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে নেতারা জানান, বিদায়ী সরকার ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সারা দেশে সরকারি কলেজবিহীন বিভিন্ন উপজেলায় একটি করে সর্বমোট ৩৩৩টি কলেজ সরকারি ঘোষণা করে। সরকার ওইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারীদের আত্তীকরণের জন্য ‘সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮’ জারি করে। অথচ এ বিধি জারির আগে শিক্ষক-কর্মচারীরা ‘আত্তীকরণ বিধিমালা-২০০০’ এর মাধ্যমে আত্তীকৃত হতেন। এবং সেখানে শিক্ষকেরা (বিসিএস সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের মর্যাদা ও কর্মচারীরা নিজস্ব সুবিধা পেতেন। অথচ দীর্ঘ যুগের নিয়ম ভেঙে বিদায়ী সরকারের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকরা তৎকালীন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারদের অনৈতিক পরামর্শে শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮ জারি করে।
ফলে শিক্ষকদের নন-ক্যাডারে প্রবর্তন, বেসরকারি আমলে প্রাপ্ত স্ব-স্ব বেতন গ্রেডের অবনমন, বেসরকারি আমলের প্রায় সব সুযোগ-সুবিধাকে রহিত করে প্রতিটা পদকে ব্লক পোস্ট করে পদোন্নতিরোধ করে প্রাতিষ্ঠানিক অমর্যাদা ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করে।
এর ফলে একজন প্রভাষক তার চাকরি জীবনের শুরুতে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করে ৩০ বছর চাকরির শেষ মেয়াদ পর্যন্ত প্রভাষক পদেই থাকবেন। এসব বৈষম্য নিরসনে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কয়েক দফা সভা-সেমিনার ও কর্মশালা করেও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় কিছু সংখ্যাক শিক্ষক-কর্মচারী ইতোমধ্যে আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
বর্তমান সরকারের কাছে মানবিক দাবি, বৈষম্য নিরসনে সারা দেশে ২০১৮ বিধিতে সরকারিকৃত ৩৩৩টি কলেজে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সার্বিক কল্যাণ সাধনে ৮ দফা বাস্তবায়নে জোর দাবি জানানো হয়। সভায় সারা দেশ থেকে আগত বিভাগীয় ও জেলা কমিটির প্রতিনিধিরা মতামত তুলে ধরে বক্তব্য দেন।