সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি সরকারিকরণের দাবি নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেছেন, দাবিতো আমি পূরণ করবো না, দাবি পেশ করবো। সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের যে তালিকা করা হয়েছে তাতে অনেকে পরে এসে যুক্ত হয়েছে। অনেকে দৌড়ে এসে বাড়ির পাশের অধ্যক্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ ধরনের তথ্য এসেছে। কর্মচারীদের সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি থাকলেও পরে তা ২০ হাজারের বেশি হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। চাকরি সরকারিকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে কর্মচারীরা মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।
মহাপরিচালক জানান, যে সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি, সে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীরা ভালো বেতন পাচ্ছেন।
মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী নেতারা বলেন, ডিজি মহোদয় আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এরপর আমরা সভা করে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করবো।
চাকরি সরকারিকরণ ও চাকরি সরকারি হওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারি স্কেলে বেতনভাতা দেয়ার দাবি জানাচ্ছেন বিভিন্ন সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীরা। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ দাবি আদায়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন কর্মচারীরা। সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন হয়।
কর্মচারীরা বলছেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কলেজগুলোতে বেসরকারিভাবে চাকরি করে আসছি। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের সরকারি কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা আমাদের বেসরকারি কর্মচারীদের থেকে অনেক বেশি। আমরা যারা
কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত বেসরকারি কর্মচারীদের নিয়োগের তারিখ থেকে চাকরি সরকারি করতে হবে, চাকরি সরকারিকরণের আগে পর্যন্ত সরকারি স্কেল অনুযায়ী বেতনভাতা দিতে হবে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দুলাল সরদার, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা অঞ্জনা রানী রায়, ঢাকা বিভাগের সভাপতি মো. আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন, ঢাকা মহানগর সভাপতি আলী মোর্তুজাসহ বিভিন্ন সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীরা মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ নেন।