দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি কাম প্রহরীদের ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি বলেন, রোজা, ঈদ, পূজা-পার্বণ, পহেলা বৈশাখ, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে বাঙালি জাতির সর্বজনীন উৎসব। অথচ দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী শিক্ষক এ উৎসবগুলো পালন করার জন্য ভাতা পেয়ে থাকেন। একমাত্র ব্যতিক্রম প্রাথমিকের দপ্তরি কাম প্রহরীরা।
গত ২০২১ খ্রিষ্টাব্দেও তারা উৎসব ভাতাসহ সব ভাতা পেতেন। সরকার ঘোষিত ৫ শতাংশ প্রণোদনা থেকেও বঞ্চিত। কী নির্মম পরিহাস শিক্ষকেরা সব ভাতা পেয়ে উৎসব উদযাপন করলেও একই ছাদের নিচে অবস্থান করেও তারা বঞ্চিত। তিনি দপ্তরি কাম প্রহরীদের ৪ দফা দাবি মেনে নিয়ে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার আহ্বান জানান।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি কাম প্রহরী আউটসোর্সিং নীতিমালার অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৃজিত পদে ৩৭ হাজার দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োজিত। সরকারের ওপর আস্থা রেখে দীর্ঘ ১১ বছর আউটসোর্সিং নীতিমালায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করে সর্বসাকুল্যে বেতন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আউটসোর্সিং পরিবর্তে দপ্তরি কাম প্রহরী পদটি রাজস্ব খাতে পদ সৃজনের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে রাজস্বখাতে নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দপ্তরি কাম প্রহরী পদটি রাজস্বখাতে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই, যোগ করেন তিনি।
দ্বিতীয়বার প্রস্তাব পাঠালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে প্রস্তাবটি পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অত্যান্ত দুঃখের বিষয় আজও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে প্রস্তাবটি পাঠানো হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে দপ্তরিদের চাকরি জাতীয়করণ, উৎসব ভাতা পুনর্বহালসহ চার দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি উদাত্ত আহ্বানও জানান তিনি।