সরকারি কর্মকমিশনের পরীক্ষায় পাস করে শিক্ষক হিসেবে মাত্র যোগদান করেছেন গৌতম কুমার। প্রতি দিনের মতো স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ করে কয়েকজন ব্যক্তি জোর করে ক্লাসের মধ্যে ঢুকে পড়েন। পরে গৌতমকে তুলে নিয়ে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তার সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দেন এক অপহরণকারী।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ভারতের বিহারের রেপুরা জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় দেশটির গণমাধ্যম।
খবরে বলা হয়, গৌতম কুমার নামে এক শিক্ষক গত বুধবার পাতেপুরের রেপুরার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াচ্ছিলেন। এ সময়ে ক্লাসরুমে ঢুকে পড়েন কয়েকজন ব্যক্তি। পরে বন্দুক ঠেকিয়ে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় গৌতমকে। এরপর সোজা পাঠিয়ে দেওয়া হয় অপহরণকারী রাজেশ রাইয়ের বাড়িতে।
প্রথমে গৌতম বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। পরে তার দিকে বন্দুক তাক করে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। এরপর প্রাণের ভয়ে রাজেশের মেয়ে চাঁদনিকে বিয়ে করতে বাধ্য হন গৌতম।
গৌতমকে অপহরণের ঘটনায় থানায় খবর দেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক। পরে গৌতমের ফোন ট্র্যাক করে তার খোঁজ পাওয়া যায়। পুলিশ গৌতমকে উদ্ধার কর। তবে ততক্ষণে বিয়ের সব নিয়ম সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।
গৌতমের পরিবারের অভিযোগ, রাজেশ রায় নামে এক ব্যক্তি গৌতমকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। এরপর তার মেয়ের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেন। এমনকি বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনও করা হয়।
বিহার পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত চলছে।
এর আগেও বিহারে অবিবাহিত ভালো চাকরি পাওয়া যুবকদের অপহরণ করে অস্ত্রের মুখে বিয়ে করতে বাধ্য করার ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র : এনডিটিভি