দৈনিক শিক্ষাডটকম, বাকৃবি : অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থায় আগামী জুলাই থেকে যোগ দেয়া চাকরিজীবীদের সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তারা বিদ্যমান পেনশনের বদলে সার্বজনীন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন। তবে সরকারের জারিকৃত এই সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে জারিকৃত ওই প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি।
দাবি আদায় না হলে সামনে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন উপস্থিত শিক্ষক নেতারা। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের সামনের করিডোরে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার পরিষদ এবং কর্মচারী সমিতি।
বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী শাহানারা আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পূর্বা ইসলাম, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের অন্য অংশের সভাপতি সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারি ও সাধারণ সম্পাদক উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আতিকুর রহমান খোকন, বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সোনালী দলের সভাপতি কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক এএসএম গোলাম হাফিজ কেনেডী ও সাধারণ সম্পাদক পশুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, বাকৃবির কোষাধ্যক্ষ ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান, বাকৃবির সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি, একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন এবং বাকৃবি অফিসার পরিষদের সভাপতি আরীফ জাহাঙ্গীর ও কর্মচারি সমিতির নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষক।
মানববন্ধনে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, নতুন পেনশন স্কিমকে বলা হয়েছে সার্বজনীন। কিন্তু এখানে বিসিএস ক্যাডারদের অন্তর্ভুক্তি নেই। শুধুমাত্র শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মকর্তা, করপোরেশনের চাকরিজীবী প্রভৃতি চাকরীজীবীদের পেনশনের উপরই এই নীতিমালা প্রযোজ্য হয়েছে। তাই এই পেনশন স্কিম বৈষম্যমূলক। ফলে অচিরেই দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাইবেন না, শিক্ষার্থীরা পাঠবিমুখ হয়ে পড়বেন। ভবিষ্যতে দেশ ও জাতি গঠনের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াবে এই পেনশন স্কিম।