নারীর অধিকার অনেক দূর এগোলেও সামাজিক কিছু রক্ষণশীলতা আছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, নারী সর্বোচ্চ পদে থাকলেও নারী নিরাপদ নয়। নারীর দৃশ্যমান অগ্রগতি বৃদ্ধি করতে হবে। ধর্ষণের ঘটনায় নারীর ইজ্জত সম্ভ্রম হানির মতো সামাজিক ধারণা থেকে সমাজকে মুক্ত করতে হবে। এর আচরণগত দায় পুরুষের। ভাষা দিয়ে নারীকে দমিয়ে রাখার প্রবণতা দূর করতে হবে। একইসঙ্গে নারী পুরুষের সাম্য প্রতিষ্ঠা ও নারীর অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে হলে পুরুষকে এই আন্দোলনে যুক্ত হতে হবে।
শনিবার রাজধানীর বিজয়নগরের একটি হোটেলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জাতীয় পরিষদ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিন এসব কথা বলেন। 'অন্তর্ভূক্তিমূলক সংগঠন গড়ি, নতুন সমাজ বিনির্মাণ করি' শ্লোগানে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, আমরা এগিয়েছি অনেক অনেক দূর কিন্তু যেতে হবে আরও বহুদূর। নারীর অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হলে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারীবান্ধব রাজনীতি ও নারী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক ও স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. শাহলা খাতুন বলেন, দেশের নেতৃত্বের উচ্চ পর্যায়ে নারী আসলেও এখনও অনেক নারী বঞ্চনার শিকার। জেন্ডার বৈষম্য আছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম সাংগঠনিক সক্ষমতার মাধ্যমে নারী ও কন্যা শিশুর অগ্রগতির জন্য সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার আহ্বান জানান।
সুইডেন অ্যাম্বাসেডর আলেকক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ড বলেন, বাংলাদেশ নানা অগ্রগতির পরও নারীর পুরুষের সমতার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। এসডিজি রিপোর্ট অনুসারে নারীদের কাজ হারানোর হার বাড়ছে, বিনা পারিশ্রমিকে কাজের বোঝা বাড়ছে। এজন্য বঞ্চিত নারীদের কন্ঠস্বরকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে আনার জন্য মহিলা পরিষদের জোরালো ভুমিকা রয়েছে।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন সুরাইয়া বেগম ও তার দল। সম্মেলনের উদ্ধোধনী ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম। সভায় মোট কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন ৫০০ জন।