প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ১ম ধাপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) অপেক্ষমান প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ১৫ জেলা থেকে মোট ৫৪ জন চাকরি প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, প্রথম ধাপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) গত ২৭ ফেব্রুয়ারির লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ১৫ জেলায় (রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার) শর্তসাপেক্ষে অপেক্ষমান তালিকা থেকে সর্বমোট ৫৪ জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা- ২০১৯ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ এপ্রিলের পরিপত্রের নির্দেশনা অনুসরণ করে উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী প্রস্তুত করে অপেক্ষমান তালিকা থেকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করে এই তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রকাশিত ফলাফলের কোনো পর্যায়ে কোনো প্রকার ভুল-ভ্রান্তি বা ত্রুটি-বিচ্যুতি বা মুদ্রণজনিত ত্রুটি ধরা পড়লে তা সংশোধন করার বা প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট ফলাফল বাতিল ও সংশোধন করার এখতিয়ার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।
নির্বাচিত কোনো প্রার্থী কোনো প্রকার ভুল তথ্য দিলে কিংবা কোনো তথ্য গোপন করেছেন বলে প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ তার ঘোষিত ফলাফল বা নির্বাচন বাতিল করতে পারবে।
চাকরি প্রার্থীদের নির্দেশনায় বলা হয়, অপেক্ষমান তালিকা থেকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ বা প্রত্যয়ন ও ডোপ টেস্ট রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দাখিল করতে হবে।
স্বাস্থ্যগত সনদে প্রার্থী কোনো দৈহিক বৈকল্যে ভুগছেন কিংবা উল্লিখিত পদে নিয়োগযোগ্য নয় বলে উল্লেখ থাকলে তিনি নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন না।
অপেক্ষমান তালিকা থেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে পরিচিতি প্রতিপাদন ও সব ডকুমেন্টস যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সব মূল সনদ (সব সনদের মূলকপি), জাতীয় পরিচয়পত্র, সিভিল সার্জনের কাছ থেকে স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ বা প্রত্যয়ন এবং ডোপ টেস্ট রিপোর্ট ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোটার সনদসহ সশরীরে উপস্থিত হতে হবে।
অপেক্ষমান তালিকা থেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীগণকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ৩ (তিন) সেট পুলিশ ভেরিফিকেশন ফর্ম (যথাযথভাবে পূরণ করে) জমা দিতে হবে।
কোনো প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্টে আগের কার্যকলাপ সন্তোষজনক না হলে কিংবা নাশকতা বা সন্ত্রাসী, জঙ্গি কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যক্রমে সসংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে প্রমাণ হলে তিনি চাকরিতে অনুপযুক্ত হবেন।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপরের ঘ, ঙ ও চ অনুচ্ছেদে বর্ণিত সব ডকুমেন্টসসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপস্থিত হতে না পারলে এবং পূরণ করা পুলিশ ভেরিফিকেশন ফর্ম দিতে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে তিনি নিয়োগপত্র দেয়ার জন্য বিবেচিত হবেন না।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।