জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক রব্বানী নাদিম হত্যার প্রধান আসামি উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাতকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করেছে জামালপুর জেলা ছাত্রলীগ। এর আগে নাদিম হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত হওয়ায় তার পিতাকেও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
শনিবার বিকালে জামালপুর ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক নাফিউল কবির রাব্বি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৪ জুন বুধবার বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পাট হাটি মোড় এলাকায় বাংলানিউজ ২৪ ডট কম এবং ৭১ টেলিভিশন এর সংবাদ সংগ্রাহক সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম এর উপর একদল দুষ্কৃতকারী অতর্কিত হামলা করে। হামলায় তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অতঃপর অত্যন্ত মুমূর্ষু অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় গত ১৫ জুন (বৃহস্পতিবার) দুপুর ২.৪৫ মিনিটে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
উক্ত ন্যক্কারজনক ঘটনায় প্রশাসন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে আপনার সংশ্লিষ্টতা জোরালোভাবে উল্লেখিত হওয়ায় দলীয় ভাবমূর্তি প্রচণ্ডভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আপনাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
প্রসঙ্গতে, গত বুধবার (১৪ জুন) রাত ১০টায় বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় পাটহাটি এলাকায় সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। উপর্যুপরি নির্যাতন করে অন্ধকারে ফেলে রাখা হয় তাঁকে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাঁকে ওই রাতেই ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।