সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের নাম-পরিচয় জানায়নি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনজনকে আটকের বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহেল রানা।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
সাংবাদিক নাদিমকে হত্যায় ঘটনায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, মূলত সিসিটিভি ক্যামেরা বিশ্লেষণ করে আমরা যাদের চিহ্নিত করছি, তাদের আটক করছি। আসলে এখনো কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। ঘটনাস্থলে যারা যারা ছিলেন তাদের যদি অভিযোগ পাই তাহলে শতভাগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে বকশিগঞ্জের পাথাটিয়ায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে দৈনিক মানবজমিনের বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি ও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট নাদিমের ওপর হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গোলাম রাব্বানী নাদিম উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে।
বুধবার অফিসের কাজ শেষে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম ও তার সহকর্মী আল মুজাহিদ বাবু। পথে বকশিগঞ্জ পাথাটিয়ায় পৌঁছালে সামনে থেকে অতর্কিত আঘাত করে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে তাকে ফেলে দেয়া হয়। এরপর দেশীয় অস্ত্রধারী ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত তাকে সড়ক থেকে মারধর করতে করতে টেনেহিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যায় এবং তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। সেসময় সহকর্মী মুজাহিদ তাদের আটকাতে গেলে তাকেও মারধর করে দুর্বৃত্তরা।
পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সহকর্মী মুজাহিদ ও স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে মারা যান নাদিম।
বুধবার রাত ১০টার দিকে বকশিগঞ্জের পাথাটিয়ায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে ঘটে যাওয়া ওই নৃশংস হামলার বর্ণনা দেন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের সহকর্মী আল মুজাহিদ বাবু।