সাইবার নিরাপত্তা আইন করার আগে সব পক্ষের মতামত নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করার পর সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছিল। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ৩৬টি ধারা বাংলাদেশে মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য ক্ষতিকর। সেগুলো আমলে না নিয়ে একই ধরনের আরেকটি আইন যদি আসে সামান্য পরিবর্তিত হয়ে, তাতে সরকার আরও সমালোচনার মুখে পড়বে। আমরা চাই না, নতুন কোনো মোড়কে একই ধরনের আইন হোক।
গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আইনটির নাম পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে নতুন আইন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে শ্যামল দত্ত আরও বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের পর সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন যে মতামতগুলো দিয়েছিল, সেগুলোকে আমলে নিয়ে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট যদি হয়, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। একটা সুনির্দিষ্ট আইন দরকার যেটি গণমাধ্যমের জন্য ক্ষতিকর হবে না।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতোমধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে সরকারকে। আমরা যে সমস্ত অবজারভেশন দিয়েছিলাম, সেগুলো যদি আমলে নেওয়া হতো, তা হলে এটার কোনো প্রয়োজন ছিল না। আমরা আইনটি বাতিল করার দাবি করেছিলাম। কোন কোন ধারা গণমাধ্যমের জন্য ক্ষতিকর সেটিও বলেছিলাম। সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যজনক হলো, সেগুলো আমলে না নিয়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টটি হয়। এখন একই ধরনের আর একটি আইন যদি আসে সামান্য পরিবর্তন করে, তাতে সরকার আরও সমালোচনার মুখে পড়বে। আমি চাইব, আলাপ-আলোচনা করে সব পক্ষের মতামত নিয়ে আইনটি হোক।
পাশাপাশি তিনি এও যোগ করেন, হ্যাক বা মানুষকে বুলিং করা এক ধরনের অপরাধ। এগুলোর বিচার করতে হবে সত্য। এ হলো নতুন বাস্তবতা, ডিজিটাল বাস্তবতা। সেই বাস্তবতার আলোকে একটা আইন লাগবে। কিন্তু সেই আইনটা যেন এমন না হয়, যেটা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হবে।