যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুর নেওয়ার সময় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহবাগ মোড়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় তার ছেলেসহ জামায়াত-শিবিরের ৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। এতে সরকারি কাজে বাধা, মারধর, গাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন– সাঈদীর ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদী, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামিক ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সরকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাইফুল ইসলাম।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সোমবার রাতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সাঈদীর মৃত্যুর খবরে খবরে জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী সোমবার রাতেই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ও শাহভাগে ভিড় করেন। এরপর সাঈদীর মরদেহ হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে তারা সেখানে ‘তাণ্ডব চালায়’ বলে মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার ফারুক আহমেদ।
ডিএমপি কমিশনার জানান, যখন মরদেহ গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়, তখন জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী লাশবাহী গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। তারা কোনোমতেই মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যেতে দেবে না। এ সময় জামায়াত-শিবির লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে থাকা পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে। সঙ্গে তারা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে।
জামায়াত-শিবিরের আক্রমণে ডিসি রমনাসহ পুলিশের কয়েকজন সিনিয়র অফিসার আহত হন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান ডিএমপি কমিশনার।
খন্দকার ফারুক আরও জানান, এ সময় জামায়াত-শিবির পুলিশের ৪-৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং দুটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়।