আগামীকাল ৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হতে যাচ্ছে। ইউনেস্কো কর্তৃক নির্ধারিত এ বছর সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সামজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’। যা সময়ের গুরুত্ব বিবেচনায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ০৮ শতাংশ।
গতবছর অর্থাৎ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বরে এ হার ছিলো ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত এক বছরে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে। আর এক যুগ আগে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে দেশে সাক্ষরতার হার ছিলো মাত্র ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে মন্ত্রণালয়ের নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত আছে।
দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানিয়েছেন, দিবসটি উপলক্ষে আলোচন অনুষ্ঠান, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সংবাদ সম্মেলন, পোস্টার প্রকাশ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত টক শো ও প্রতিবেদন প্রকাশ ইত্যাদি কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে শুক্রবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর (বিএনএফই) প্রধান কার্যালয়ে।
তিনি আরো জানান, দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সরকারের যে সংবিধান প্রণীত হয় তার ১৭ নং অনুচ্ছেদে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাক্ষরতা বিস্তারে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ঠাকুরগাঁওয়ে সাক্ষরতা অভিযান শুরু হয়। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানটি হয় ঠাকুরগাঁওয়ে। এ দিনে ঠাকুরগাঁওয়ের কচুবাড়ী-কৃষ্টপুর গ্রামকে বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরতামুক্ত গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।