সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ফের পিছিয়ে আগামী ২২ মে নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ রোববার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট খন্দকার শফিকুল আলম কোনো প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রশিদুল আলম পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
এ নিয়ে ৯৭ বারের মতো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছানো হলো। প্রতিবেদন দিতে দেরি হওয়ায় এর আগে দু'টি আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এর আগে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২ মার্চ আলোচিত এই হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয় র্যাব। প্রতিবেদনে বলা হয়. হত্যাকাণ্ডে দু'জন অপরিচিত পুরুষ জড়িত ছিলেন। সাগর-রুনির ব্যবহৃত কাপড়ের সঙ্গে তাদের ডিএনএ’র মিল পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। দু'জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এর পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি শেরে বাংলা নগর থানার মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়। এরপর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা হিসেবে ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশকে এটির তদন্তভার দেওয়া হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। এরপর ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের নির্দেশে আলোচিত এই হত্যা মামলার তদন্তভার র্যাবের ওপর ন্যস্ত করা হয়। মামলায় রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন।