পহেলা জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করা হলেও গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসা শাখার নবম শ্রেণির ৮ বিষয়ের ২১ হাজার ৭০০ পিস পাঠ্যপুস্তক এখনো পৌঁছেনি। শিক্ষার্থীরা কবে নাগাদ এই পাঠ্যপুস্তকগুলো হাতে পাবে, তার সঠিক সময় জানা যায়নি। এই অবস্থার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে অন্যান্য পাঠ্যপুস্তক তুলে দিয়েই সাদুল্যাপুর উপজেলায় পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে গেছে, সোমবার পর্যন্ত এখানকার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ৭ বিষয়ের ১৭ হাজার এবং মাদাসার নবম শ্রেণির ৫ বিষয়ের ৪ হাজার ৭০০ পিস পাঠ্যপুস্তক পাওয়া যায়নি। রোববার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আবারো চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বিষয়ভিত্তিক না পাওয়া পাঠ্যপুস্তকগুলো হলো মাধ্যমিক বিদ্যালয় শাখার নবম শ্রেণির ইংরেজি ৫ হাজার ২০০ পিস, মাধ্যমিক গণিত ৫ হাজার ২০০ পিস, পদার্থ বিজ্ঞান ২ হাজার ৬০০ পিস, উচ্চতর গণিত ৮০০ পিস, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতা ২ হাজার ২০০ পিস, অর্থনীতি ৬০০ পিস এবং হিসাব বিজ্ঞান ৪০০ পিস।
মাদ্রসা শাখার নবম শ্রেণীর বিষয় ভিত্তিক না পাওয়া পাঠ্যপুস্তক গুলো হলো বাংলা ১ হাজার ৪০০ পিস, ইংরেজি ১ হাজার ৪০০ পিচস, সাধারণ গণিত ১ হাজার ৪০০ পিস, পদার্থ বিজ্ঞান ৪০০ পিস ও উচ্চতর গণিত ১০০ পিস।
উপজেলার নলডাঙ্গা জেসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম মন্ডল জানান, নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম দিনে সকল বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক হাতে না পাওয়ায় স্বভাবত কারণে ছাত্রীদের একটু মন খারাপ হয়েছে।তবে পাঠ্যপুস্তক গুলো দ্রুত হাতে পেলে আবার সবাই খুসি হবে। সেই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে রাখতে হবে।
কারণ বর্তমানে লেখাপড়ায় প্রচুর চাপ রয়েছে। পাঠ্যপুস্তক পেতে বিলম্ব হলে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়বে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মনিরুল হাসান বলেন, আমরা সরকারিভাবে যেসব পাঠ্যপুস্তক হাতে পেয়েছি, সেগুলোই পহেলা জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ নিশ্চিত করেছি। যে সমস্ত পাঠ্যপুস্তক এখনো পাওয়া যায়নি সেগুলোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।