বরিশালের বানারীপাড়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন এক স্কুল শিক্ষিকা। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বানারীপাড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
ওই স্কুল শিক্ষিকা পারভীন আক্তার জানান, ২০১৫ সালে বানারীপাড়ার শাওন ক্যাবল নেটওয়ার্কের সত্ত্বাধিকারী মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের আগে তার একটি মেয়ে ছিল। বিয়ের পর থেকে ওই নারীর সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মোজাম্মেল তাকে বিভিন্ন সময় শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। ২০১৮ সালে স্থানীয় ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একটি সালিশে তাদের তালাক হয়।
পরে আবার সমঝোতা হলে তাদের পুনরায় বিয়ে হয়। তবে কিছুদিন না যেতেই মোজ্জামেল আগের মতো স্ত্রী ও তার মেয়ের ওপর নির্যাাতন শুরু করে।
তিনি জানান, দাম্পত্য কলহের কারণে ২০২২ সালে বানারীপাড়া থানার তৎকালীন ওসি হেলাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে এক বৈঠকের মাধ্যমে আবার তাদের খোলা তালাক হয়। কিন্তু তালাকের সত্ত্বেও মোজাম্মেলের হাত থেকে তার নিস্তার মেলেনি। বিভিন্নভাবে তার সম্পত্তিসহ বসত বাড়ি একাধিকবার দখলের চেষ্টা করে মোজাম্মেল। পাশাপাশি ওই নারীর নামে নানা কুৎসা রটিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন তিনি।
পারভীন আরও জানান, এ ঘটনায় তিনি মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন। শ্লীলতাহানী ও চুরির অপর একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন কারাবাস করে বের হয়ে মোজাম্মেল হোসেন পুনরায় তার সম্পত্তি দখলের পায়তারা চালাতে থাকে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গত সোমবার মোজাম্মেল লোকজন নিয়ে ওই শিক্ষিকার বিল্ডিংয়ের দেওয়াল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় তার বাসায় থাকা দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা লুট করেন তারা। খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে এলে মোজাম্মেল হোসেন তাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ওই নারীকে খুনের হুমকি দিয়ে মোজাম্মেল ও তার সহযোগীরা চলে যায়। সম্পত্তি ও জীবন রক্ষায় প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন ওই শিক্ষিকা।
পরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে তিনি বাদী হয়ে মোজাম্মেল হোসেন (৪৮), তার সহযোগী মো. শাহিন (২৬), আলাউদ্দিন (৫৭) ও মোজাম্মেলের বোন টুলুকে (৩৩) আসামি করে বানারীপাড়া থানায় মামলা করেন।
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোজাম্মেল হোসেন।