চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের সর্বাত্বক সাটডাউন কর্মসূচি চলছে আজ। আন্দোলনের গত কয়েকদিন দুই একটি ট্রেন কমলাপুর থেকে ছেড়ে গেলেও আজ কোনো ট্রেন ছাড়েনি। এমনকি সকাল ৬টার পর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কোনো ট্রেন প্রবেশ করেনি। ফলে সারাদেশের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ট্রেন যাচ্ছেও না আসছেও না। ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে পরামর্শ করেই নিরাপত্তার স্বার্থে এটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু রেলের নিরাপত্তাই নয় বরং এখানে যাত্রী নিরাপত্তা বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। রেলের যাত্রীর মধ্যে নারী-পুরুষ ব্যাতীত শিশু ও বৃদ্ধরাও থাকেন। ট্রেন ছাড়ার পর কোথায় আটকে থাকবে কতক্ষণ থাকবে তা বলা যায় না। তাই যে যেখানে আছে তাকে সেখানে রেখেই ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাজশাহী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাতে দুটি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর আজ আর ট্রেন ছাড়েনি রাজশাহী থেকে। শুধু ঢাকা নয় রাজশাহী থেকে দিনাজপুর, নীলফামারী, পাবনা, গোপালগঞ্জ এমনকি খুলনারও কোনো ট্রেন ছাড়েনি। ঢাকা-রাজশাহীগামী ট্রেন মাঝখানে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে আছে।
জানা গেছে, খুলনা থেকে আজ কোনো ট্রেন ছাড়েনি। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলের ট্রেনের হাব পার্বতীপুর থেকেও কোনো ট্রেন ছাড়েনি আজ।
ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা, ঢাকা-নেত্রকোণা-ঢাকা, সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট এবং ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা। ঢাকা থেকে খুলনা ও বেনাপোলের ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
কমলাপুরে উপস্থিত যাত্রী হালিমা বেগম বলেন, অতীতে অনেক হরতাল অবরোধ হয়েছে তবে কোনো সময়ের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়নি। এমনকি যুদ্ধের সময়ও ট্রেন চলেছে। নিরাপদ বাহন হিসেবে ট্রেনের কদর রয়েছে। এখানে সবাই যেতে পারে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে কিছু হলেই বাসের মতো ট্রেন চলাচল করতেও ভয় পায়। এটি সবকিছুর আওতামুক্ত থাকা দরকার।