ইন্টারনেটের গতি বাড়ার সাথে সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তির যে বিকাশ ঘটছে, তা আর বলা অপেক্ষা থাকে না। উন্নয়নশীল পরিবেশ মানুষের জীবনকে অনেক বদলে দিয়েছে। এতে মানুষের জীবনযাত্রাও সহজ হয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের খবর এখন হাতের মুঠোয়। ডাক্তার থেকে শুরু করে বিয়ের পাত্র পাত্রী, সব কিছুই অনলাইনেই হয়ে যাচ্ছে।
বহু মানুষের বাড়িতেই এখন ওয়াই-ফাই রয়েছে। তার তা ২৪ ঘন্টা চলতেই থাকে। তার তাতেই সব কাজ হয়ে যায় কয়েক সেকেন্ডেই। কিন্তু এই সহজ সরল জীবন কী আদতেই লাভজনক? কখনও এই প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করেছেন? আপনি হয়তো জানেন না, ওয়াই-ফাই-এর ক্রমাগত ব্যবহার যেমন আপনার শরীরের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। আপনি হয়তো ঘরের ওয়াই-ফাই অন করেই রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। আর তাতে আপনার শরীরে অনের রোগ বাসা বাধতে পারে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সারা রাত ওয়াই-ফাই অন রাখলে কী কী ক্ষতি হতে পারে শরীরে?
দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে:
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে অনেক সময় চোখে জ্বালা করে। মাঝে মাঝে ফোলাভাবও হয়। কিন্তু কেন? আপনি ভাবেন আপনার রাতে ঠিক করে ঘুম হয়নি, তাই হয়তো এমন হচ্ছে। কিন্তু না, এর কারণ হতে পারে আপনার ঘরে চলতে থাকা ওয়াই-ফাই। ওয়াই-ফাই থেকে যে তরঙ্গ বের হয়, তার প্রভাব শরীরে পড়ে। মোবাইল ও ল্যাপটপের ক্রমাগত ব্যবহারের ফলের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
ঘুমে প্রভাব পড়ে:
Wi-Fi-এর তরঙ্গ এবং ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহার ঘুমের উপরও প্রভাব ফেলে। এ কারণে অনেকের মধ্যেই অনিদ্রার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।
বিরক্তি বাড়ে:
Wi-Fi-এর তরঙ্গের প্রভাব মানসিকভাবেও পড়ে। অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে প্রকৃতি অনেক সময় খিটখিটে হয়ে পড়ে। অর্থাৎ সকালে ঘুম থেকে উঠেই আপনার কোনও কারণ ছাড়াই বিরক্তি লাগলে বুঝবেন, তা সারারাত Wi-Fi অন রাখার কারণ হচ্ছে।
স্মৃতিশক্তিতে খারাপ প্রভাব পড়ে:
Wi-Fi-এর অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষের স্মৃতিশক্তিতেও খারাপ প্রভাব ফেলছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে আলজ়াইমারের সমস্যা দেখা দিচেছে। যার কারণে ছোট ছোট জিনিস মনে রাখতে সমস্যা হচ্ছে মানুষের।
কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী?
রাতে ঘুমানোর সময় ওয়াই-ওয়াই বন্ধ করুন। এ ছাড়া যতটা সম্ভব কম মোবাইল ব্যবহার করুন। আরও শারীরিক পরিশ্রম করার চেষ্টা করুন। আউটডোর গেম খেলুন, এটি আপনাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখে। চেষ্টা করুন কাজের পরে আর ল্যাপটপ নিয়ে না বসার।