ঝালকাঠিতে তেলবাহী ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণের তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে একর পর এক মরদেহ উদ্ধার হচ্ছে। সুগন্ধা নদী পাড়ের চলছে স্বজনদের কান্নার রোল। কোস্টগার্ড বলছে, নিখোঁজ সবার মরদেহই পাওয়া গেছে।
সুগন্ধায় তেলবাহী ট্যাঙ্কার সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরণের দ্বিতীয় দিনের অভিযানে প্রথমে উদ্ধার হয়েছিলো গ্রিজার আব্দুস সালাম হৃদয়ের মরদেহ। বিস্ফোরিত ট্যাঙ্কারের ইঞ্জিন রুম থেমে তার মরদেহটি উদ্ধার হয়। বিস্ফোরণে নদীতে ডুবে যাওয়া জাহাজের ওই অংশটি থেকে সোমবার সকালে বিআরডবব্লিউটির উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভিক উদ্ধার করে আরো দুটি মরদেহ। এ নিয়ে নিখোঁজ মোট ৪ জনের মধ্যে তিনজনের মরদেহই ওপরে তোলা হয়। অপর মরদেহটিও ট্যাঙ্কারের উড়ে ওই যাওয়া অংশের নীচে রয়েছে বলে শনাক্ত করেছে কোস্টগার্ডের ডুবুরি টিম।
এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পর নিখোঁজদের স্বজনদের আহাজারি ও কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে সুগন্ধা পাড়ের বাতাস। স্বজন ও ডুবুরিরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মরদেহগুলো পুড়ে ও গলে গিয়ে বিকৃত হয়ে গেছে। তবু স্বজনরা চুল,দাড়ি ও শরীরের গরণ দেখে শানাক্ত করছেন।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে. কর্নেল শাফায়েত হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নিখোঁজ থাকা বাকি একজনের মরদেহও শনাক্ত হয়েছে। খুব শিগগিরই উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হবে।
যাদের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তারা হলেন, মাস্টার ইনচার্জ রুহুল আমীন খান ও সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলাল।
প্রসঙ্গত, ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে ঝালকাঠি শহরের পৌরসভা খেয়াঘাটের অপর পাশে সুগন্ধা নদীতে গত শনিবার সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরিত হয়। ঘটনার পর টাঙ্কারে থাকা মোট ৯ জন শ্রমিকের মধ্যে দগ্ধ হয়ে ৫ জন আহত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিলেন। নিখোঁজ ছিলেন ৪ জন। সোমবার তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।