লক্ষ্মীপুর সদরের রহমতখালী খালের ওপরের সেতুটি ভেঙে গেছে। এটি আকস্মিক ভেঙে পড়ায় গত চার দিন ধরে চন্দ্রগঞ্জ-চরশাহী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেতুটি ভেঙে পড়ার পর স্থানীয় কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষাসহ শ্রেণি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রিয়ব্রত চৌধুরী জানান, গত রোববার সেতুটি ভেঙে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ১০টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ পাঁচ গ্রামের মানুষ। সেতু ভেঙে পড়ায় কলেজের একাদশ শ্রেণির সোম ও মঙ্গলবারের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষাসহ শ্রেণি কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা না হলে শিক্ষার্থীদের কলেজে আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে তিনি জেলা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সফিক আহাম্মেদ, তাজুল ইসলাম, মোমিন মিয়া, আবু সুফিয়ান, শিক্ষার্থী শ্রাবন্তী ও আমেনা বেগম জানান, রোববার দুপুরে রহমতখালী খালের ওপর নির্মিত ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির মাঝের চারটি পিলার আকস্মিক ধসে যেতে থাকে। সেতুর ওপরের পাটাতনগুলো আস্তে আস্তে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে করে সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন ও মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে ঘটনার সময় সেতুর ওপর কোনো মানুষ বা যানবাহন না থাকায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের অনেক খাল-বিলের পানি এখনও পুরোপুরি নামেনি। সেসব জলাশয় থেকে পানি নামছে রহমতখালী খাল দিয়ে। এ কারণে খালে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। ওই স্রোতেই সেতুটি ধসে পড়েছে।
এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, সেতুটি অনেকটাই নড়বড়ে ছিল। মেরামতের জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগে জানানো হয়েছে। ভেঙে যাওয়ায় চন্দ্রগঞ্জ-চরশাহী সড়কে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।
সেতুর পাশে দক্ষিণ পাড়ের বাসিন্দা শামছুল ইমলাম বলেন, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে রহমতখালী খালের ওপর সেতুটি দিয়ে কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ চলাচল করেন। ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও গাড়ি এ সেতু দিয়ে চলাচল করত। এখন সবাই দুর্ভোগে পড়েছেন।
জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ঘটনাস্থলে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি নতুন সেতু নির্মাণ ও বিকল্প সেতুর ব্যবস্থা করতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক। তিনি বলেন, এ সড়কে চলাচলের জন্য দ্রুত বাঁশের সাঁকো বা অন্য কোনো মাধ্যমে চলাচলের ব্যবস্থা করবেন।