রোমাঞ্চ ছড়িয়ে অবশেষে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। ফেভারিট ব্রাজিলকে হারিয়ে শেষ চারে উঠেছেন লুকা মদ্রিচরা। তাই আর্জেন্টিনার সামনে এবার বড় পরীক্ষা। তবে পরিসংখ্যান বলছে, সেমিফাইনালে কখনো হারেনি দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের আগে এখন পর্যন্ত চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। যেখানে একবারও হারেনি তারা। বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম আসর শুরু হয় ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে। সেই আসরেই সেমিফাইনালে খেলে আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে মেক্সিকো বিশ্বকাপে, ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ইতালি বিশ্বকাপে এবং ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ব্রাজিল বিশ্বকাপে।
উরুগুয়ে বিশ্বকাপ (১৯৩০)
আশ্চর্য শোনালেও যুক্তরাষ্ট্রকে উরুগুয়ে বিশ্বকাপে অনেকেই ফেভারিট মনে করেছিলেন। শেষ চারের লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে তারাই ছিল এগিয়ে। তবে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে যুক্তরাষ্ট্র হারে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে। আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন লুইস মন্তি, আলেহান্দ্রো স্কোপেয়ি, গিলের্মো স্তাবিলে ও কার্লোস পেকুসেয়ে। তবে ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে ৪-২ গোলে হেরে যায় আর্জেন্টিনা।
মেক্সিকো বিশ্বকাপ (১৯৮৬)
সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ডিয়েগো ম্যারাডোনার অনন্য ফুটবল প্রদর্শনীতে ২-০ গোলের জয় পায় আর্জেন্টিনা। সেবার জার্মানির বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা।
ইতালি বিশ্বকাপ (১৯৯০)
ইতালির বিপক্ষে সেমিফাইনালে ১-১ গোলে ড্র করেছিল আর্জেন্টিনা। তবে টাইব্রেকারে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক গয়কোচিয়ার বীরত্বে ৪-৩ গোলের জয় পায় তারা। তবে ফাইনালে জার্মানির কাছে তাদের হারতে হয় ১-০ গোলে।
ব্রাজিল বিশ্বকাপ (২০১৪)
নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে সেমিফাইনালটা ১২০ মিনিটেও ছিল গোলশূন্য। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পুরো ম্যাচেই নিষ্প্রভ ছিলেন মেসি। তবে গোলরক্ষক সের্হিও রোমেরো সেদিন আগুন হয়ে উঠেছিলেন। দারুণ সব সেভের পর টাইব্রেকারে ঠেকিয়ে দেন দুটি শট। তাতেই ফাইনালের দরজা খোলে আর্জেন্টিনার। ১৯৯০ বিশ্বকাপের মতো সেবারও শিরোপা হাতছাড়া হয় জার্মানির কাছে হেরে।