দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবিতে আবারো আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) ১ হাজার ১৮৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত অক্টোবরে তারা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি ও শিক্ষা ভবনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। পরে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস পেয়ে ফিরেছিলেন কর্মস্থলে। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন না হলেও ফের সেসিপের মেয়াদ বাড়ানোর সময় এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে সেসিপের জনবল রাজস্বখাতে স্থানান্তরের জন্য চাকরি অব্যাহত রাখার আদেশ জারি না করে পুনরায় সেসিপের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলে কর্মবিরতি ও শিক্ষা ভবনে অবস্থান কর্মসূচি করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রকল্পটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার বিকেলে দৈনিক আমাদের বার্তার সঙ্গে আলাপকালে এ ঘোষণা দেন সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. আব্দুল হাকিম।
তবে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম এ কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ কর্মবিরতির সময় দৈনন্দিন দাপ্তরিক কাজ না করলেও নির্বাচনী দায়িত্ব তারা পালন করবেন। সেসিপের মেয়াদ বাড়ানোর আদেশ জারি হলেই এ কর্মসূচি শুরু করবেন তারা।
পরিষদের সভাপতি মো. আব্দুল হাকিম দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, রাজস্বখাতে আমাদের পদ সৃজন করা হয়েছে। কিন্তু চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা হচ্ছে না। অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি শুরু করলেও পরে দাবি আদায়ের আশ্বাসে তা প্রত্যাাহর করেছিলেন সেসিপের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কিন্তু জানুয়ারিতে ফের সেসিপের মেয়াদ বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। আমাদের চাকরি রাজস্বাখাতে স্থানান্তর না করে সেসিপের মেয়াদ বাড়ালে আমরা ফের হতাশ হয়ে কর্মবিরতি ও শিক্ষা ভবন ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবো। রাজস্বে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে ১ জানুয়ারি থেকে ওয়ার্ক অর্ডার না পেলে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আমরা রাজস্বখাতে স্থানান্তর চাই।
সেসিপের কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন সেসিপ প্রোগ্রামে প্রায় ৩০ শতাংশ নারী, ৭৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-পোষ্য কর্মরত। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসগুলোতে কর্মরত এসব কর্মকর্তা বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কারিকুলাম বাস্তবায়ন, হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসার, আইসিটিভিত্তিক শিক্ষার প্রসার, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ, স্কুল মনিটরিং ও নিবিড় একাডেমিক সুপারভিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেল শক্তিশালীকরণ ও সফটওয়্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। এ ছাড়া নকল মুক্ত পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনে ট্যাগ অফিসার এবং জাতীয় নির্বাচনসহ সব পর্যায়ের নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন, বিজ্ঞান ও উন্নয়ন মেলা আয়োজন, বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের বিভিন্ন ইভেন্ট পরিচালনা করেন তারা।
তারা বলছেন, এসব পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুশাসন দিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ও ইতিবাচক কাজ করেছে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় এ পদগুলো রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার সম্মতি দেয়নি। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন ওই ১ হাজার ১৮৭টি পদের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।