সেসিপ কর্মকর্তাদের উচ্ছৃঙ্খলতায় শিক্ষাভবনে ভীতিকর পরিবেশ - দৈনিকশিক্ষা

চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর হচ্ছে নাসেসিপ কর্মকর্তাদের উচ্ছৃঙ্খলতায় শিক্ষাভবনে ভীতিকর পরিবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উচ্ছৃঙ্খলতায় শিক্ষাভবনে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার বিকেলে তারা সেসিপ প্রকল্পের নারী কর্মকর্তাসহ কয়েকজনকে অবরুদ্ধ, গালমন্দ ও অপর কয়েকজনকে কিলঘুষি মেরেছে। তাদের দাবি রাজস্বখাতে নেয়ার বিরোধীতা করেছেন প্রকল্পের যুগ্ম-পরিচালক শামসুন্নাহারসহ কয়েকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষা ভবনের ভেতরে তান্ডব চালানো আন্দোলনরত সেসিপ কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গত রোববার থেকে পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী শিক্ষা ভবন প্রায় অচল করে রেখেছেন। গত সোমবার তারা শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসিক বেতন-ভাতা প্রক্রিয়াকরণের ও বিতরণের কারিগরি শাখা ইএমআইএস সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছেন। গত সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে তারা শিক্ষা ভবনের নতুন  ভবনে অবস্থিত ইএমআইএস সেলে ঢুকে সার্ভার বন্ধ করে দেয়। ওই সেলে কর্মরত সবাই সেসিপ প্রকল্পের অস্থায়ী কর্মকর্তা। বন্ধ হওয়ার ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন হাইস্কুল ও কলেজের প্রায় তিন লাখ শিক্ষকের বেতন-ভাতা বিতরণ বন্ধ ।

অধিদপ্তরের কর্তারা একদিনের জন্য সার্ভার চালু করার জন্য আন্দোলনরতদের অনুনয় বিনয় করলেও সার্ভার চালু করেননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। 

শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক কলেজ ও প্রশাসন অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করিমের কক্ষে গিয়েও হইচই ও বেয়াদবি করেছেন মর্মে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।  

আন্দোলনকারীরা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, কর্মরত জনবলসহ সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) ১ হাজার ১৮৭টি পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। 

আন্দোলনকারীরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে চরম বৈষম্যের শিকার তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন সেসিপ প্রোগ্রামে প্রায় ৩০ শতাংশ নারী কর্মরত। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসগুলোতে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে এখনো ইনক্রিমেন্টবিহীন স্কেলভিত্তিক বেতনে কর্মরত আছেন তারা। দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষিত, ১০-২২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ১ হাজার ১৮৭ জনবলকে মানবেতর জীবন-যাপন থেকে মুক্তি দিতে পদগুলো জনবলসহ রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রমতে, এই জনবলকে রাজস্বখাতে নেওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। পদগুলো রাজস্বখাতে যাবে কিন্তু জনবল না। প্রয়োজনে আবারো থোক বরাদ্দ দিয়ে এই জনবলকে আরো এক বছর চাকরিতে রাখা হতে পারে। যেমনটা গত কয়েকবছর ধরে হয়ে  আসছে। 

এদিকে এই খবর পেয়ে মারমুখী হয়ে শিক্ষাভবনে ভাঙচুর, নারী কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত ও অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। রাত সাড়ে আটটা অবধি তারা সেসিপ প্রকল্প অফিসে তাণ্ডব চালান।

এমপিওর সার্ভার বন্ধ রেখে এমপিও শিক্ষকদের ভোগান্তি হওয়ার সমালোচনা করছেন এমপিওপ্রত্যাশীরা।   

অটোপাসের সিদ্ধান্ত ব্যাড কালচার তৈরি করলো - dainik shiksha অটোপাসের সিদ্ধান্ত ব্যাড কালচার তৈরি করলো নবম শ্রেণি থেকে আবারো আলাদা বিভাগ থাকবে: শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha নবম শ্রেণি থেকে আবারো আলাদা বিভাগ থাকবে: শিক্ষা উপদেষ্টা পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি : চূড়ান্ত সুপারিশের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ - dainik shiksha পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি : চূড়ান্ত সুপারিশের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপির ১৯৮ জন প্রাণ দিয়েছেন: ফখরুল - dainik shiksha ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপির ১৯৮ জন প্রাণ দিয়েছেন: ফখরুল আসিফ নজরুলের গাড়ি আটকে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ - dainik shiksha আসিফ নজরুলের গাড়ি আটকে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এইচএসসি বাতিলের ঘোষণা বলবৎ থাকবে: শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha এইচএসসি বাতিলের ঘোষণা বলবৎ থাকবে: শিক্ষা উপদেষ্টা সেসিপ কর্মকর্তাদের উচ্ছৃঙ্খলতায় শিক্ষাভবনে ভীতিকর পরিবেশ - dainik shiksha সেসিপ কর্মকর্তাদের উচ্ছৃঙ্খলতায় শিক্ষাভবনে ভীতিকর পরিবেশ ছাত্রীর সঙ্গে অধ্যক্ষের ‘আপত্তিকর ভিডিয়ো’ ভাইরাল - dainik shiksha ছাত্রীর সঙ্গে অধ্যক্ষের ‘আপত্তিকর ভিডিয়ো’ ভাইরাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0060560703277588