পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলায় পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় থাকলেই ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে আমাদের কাঙ্ক্ষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে রোববার বন অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতে মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, স্বাধীনতার কথা বলতে গেলে বঙ্গবন্ধুর কথা আসবেই। বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। অনেক চড়াই উৎরাই, অনেক রক্ত, অনেক বার কারাবরণ করে তিনি দেশকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। তাঁর নির্দেশনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহসে যুদ্ধ করার কারণে আমাদের বিজয় ত্বরান্বিত হয়েছে। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছেন।
বনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে আদর্শ ও অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে হিসেবে দেশ গঠনে দৃঢ়তার সাথে কাজ করতে হবে। বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষার শপথ নিয়ে কাজ করতে হবে। ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের সবার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারলেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়িত হবে।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বন অধিদপ্তরের উপপ্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়।
মুখ্য আলোচক হিসেবে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আরো তৎপর হতে হবে। স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ছয়দফা ছিলো বাঙালির স্বাধীনতার দলিল। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো বাংলাদেশ।
আলোচনা সভার আগে পরিবেশমন্ত্রীসহ অতিথিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের পর বীর শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জনগণের সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।