সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারিতে জন্ম সনদ জালিয়াতি করে বেশকিছু শিক্ষার্থী নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জালিয়াতি করে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোন শিক্ষার্থী ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হয়ে থাকলে তাকে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি না করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। একই সঙ্গে কিভাবে এসব শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করতে হবে সে প্রক্রিয়াও সরকারি বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের জানিয়েছে অধিদপ্তর।
গতকাল সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক আদেশে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচালক দূর্গা রানী সিকদার স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা নির্ধারিত লিংকে (gsa.teletalk.com.bd) প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ডাউনলোড অপশনটি ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারীদের তালিকা পেয়ে যাবেন।
ডিজিটাল লটারিতে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত ১ম তালিকা এবং ১ম অপেক্ষমান তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য এ লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন। লিংকে নাম তথ্য টাইপ করে সাবমিট করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছে তা জানা যাবে।
এক্ষেত্রে কোন আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। কেননা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে একই পছন্দক্রমে একাধিকবার আবেদন করা যাবে না বলে উল্লেখ ছিল।
আদেশে আরও বলা হয়, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে ১ম অপেক্ষমান তালিকা প্রদর্শন করবেন। সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত বৈধ প্রার্থী ছাড়া সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি অথবা প্রতিষ্ঠান প্রধান কোন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাতে পারবেন না।
গত ১২ ডিসেম্বর ৫৪০টি সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৯৯ হাজার ২৯০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর গত ১৩ ডিসেম্বর বেসরকারি ২ হাজার ৮৫২টি স্কুলে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১ লাখ ৯১ হাজার ৪৯৭ জন ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ডিজিটাল লটারিতে অংশ নিয়ে সরকারি স্কুলে ভর্তির অপেক্ষমান তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন আরও প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থী। আর বেসরকারি স্কুলগুলোতে আবেদন থাকা সাপেক্ষে ভর্তিচ্ছুরা অপেক্ষমান তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।