নওগাঁর মান্দায় বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে বসে মাদক সেবনের সময় হাতেনাতে বজলুর রহমান নামের এক শিক্ষকসহ চার জনকে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হক কাজী।
আটককৃত শিক্ষক বজলুর রহমান বড়পই গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে ও কয়াপাড়া কামারকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক। এ ছাড়াও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোল্লা মো. এমদাদুল হকের ছেলে মমিনুল হক (৩৪), আব্দুল করিমের ছেলে তৌকির আহমেদ মিঠু (২৬) এবং ছোট বেলালদহ গ্রামের রাসেল আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন (২৩)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আটককৃত বজলুর রহমানের মামা ও তার মামাতো ভাই মমিনুল হক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোল্লা মো. এমদাদুল হকের ছেলে হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে নেশায় আসক্ত হয়ে পরে। ওই দিনে-রাতে ওই দুইজন সঙ্গীকে নিয়ে রাত ৮টার দিকে তার বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি রুমে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সেবন করছিলো। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদে কয়াপাড়া কামারকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৪ মাদকসেবীকে আটক করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে রোববার বিকেলে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আগামীতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।