পাবনার সাঁথিয়ায় জমি ভাড়া নিয়ে স্কুল চালানোর নাম করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে। স্কুল পরিচালনাকারী হারুনর রশীদ ৫ মাস ধরে ওই জায়গার ভাড়া দিচ্ছেন না। আবার তিনি জায়গা কিনে নিয়েছেন বলেও প্রচার করছেন। শনিবার ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল জলিল খাঁন এ অভিযোগে উপজেলার বনগ্রাম বাজারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের ওই জায়গা ১০ বছরের জন্য ভাড়া নেন প্রভাষক আব্দুল লতিফ এবং আব্দুল করিম ও হারুনর রশীদ। তারা এল কে এইচ মডেল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ চালু করেন। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে স্কুলের মূল উদ্যোক্তা আব্দুল লতিফ এবং আব্দুল করিম স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে চুক্তি বাতিল করে ও তারা চলে যান। কিন্তু তিন নম্বর অংশীদার হারুনর রশীদ স্কুলের নাম বদল করে শমসের আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নামকরণ করেন।
আব্দুল জলিল খাঁন আরও বলেন, চুক্তি বাতিল হওয়ার পর হারুনর রশীদকে নোটিস দিয়ে গত ১ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়। কিন্তু হারুনর রশীদ তা করেননি। ৫ মাসের ভাড়াও দেননি। বরঞ্চ প্রতিষ্ঠানের জায়গা কিনে নিয়েছেন বলে প্রচার করছেন।
এ অবস্থায় তিনি তার ছেলেসহ চুক্তিপত্রের সাক্ষীদের নিয়ে গত ১ জানুয়ারি হারুনর রশীদের কাছে যান। এ সময় হারুনর রশীদের সঙ্গে কয়েকজন মিলে নতুন চুক্তিপত্র লিখে দিতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় বাকবিতন্ডা শুরু হয় ও উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। এ সময় হারুন অর রশীদ তাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন স্থানে ফোন করে জানান। পরবর্তীতে তিনি থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক আব্দুল লতিফ, স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ মোল্লা, সাবেক ইউপি সদস্য হায়দার আলী সেখ, আব্দুল কাদের শেখ, আব্দুল গফুর খাঁন, আব্দুল মান্নান খাঁন, ইউনুছ আলী মোল্লা, নিশান খান প্রমুখ।