স্কুলে নিয়োগ পেলেন সভাপতি-প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়রা, অনিয়মের অভিযোগ - দৈনিকশিক্ষা

স্কুলে নিয়োগ পেলেন সভাপতি-প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়রা, অনিয়মের অভিযোগ

সিনিয়র রিপোর্টার, টাঙ্গাইল |

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের নজর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারী পদে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের নিকটাত্মীয়দের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি চারটি শূন্যপদে নিয়োগ দেয়া হলেও তিনটি পদের স্বজনপ্রীতি করে সভাপতি রুঞ্জু আহামেদের বোন-ভগ্নি জামাই এবং প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে। স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম করে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।

জানা গেছে, প্রধান শিক্ষকের ছেলে মো. হাফিজুর ইসলাম স্কুলের কম্পিউটার ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ পেয়েছেন। আর আয়া পদে সভাপতি রঞ্জু আহামেদের বোন মোছা. খালেদা ও পরিছন্নীকর্মী পদে ভগ্নি জামাই মো. মাহাবুর রহমানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর নিরাপত্তাকর্মী পদে মো. ছানোয়ার হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি রঞ্জু আহামেদ মদদে অনিয়ম করে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান। সভাপতির আস্তাভাজন প্রধান শিক্ষক চারটি পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চারটি পদে নিয়োগ পেতে ৮০ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে মাত্র ১৭-১৮ জন আবেদনকারীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির কারসাজিতে গত ১৬ এপ্রিল পাতানো নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন বিকেলেই চুড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। 

বিদ্যালয়ের জমি দাতা নজর আলীর ছেলে মো. দুলাল হোসেন ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী পদে নিয়োগের আবেদন করেছিলেন। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নিয়োগের জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিলেন প্রধান শিক্ষক। টাকা না দেয়ায় রোল নম্বর ও পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম উল্লেখ ছাড়াই প্রবেশপত্র দেয়া হয়। ফলে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি তিনি। এমন অভিযোগ করেন আরো অনেক প্রার্থী। 

এ পরিস্থিতিতে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত ৪ সদস্য মো. বাবুল আক্তার, মো. সাজ্জত হোসেন, এম আজিজুল হক পান্না ও মো. জমির উদ্দিন মাস্টার বাদি হয়ে ঢাকা হাই কোর্টে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানিয়ে ২ জনকে বিবাদি করে একটি মামলা করেছেন।

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কোনো অনিয়ম হয়নি। আমার ছেলে পরীক্ষায় পাস করেছে, নিয়ম অনুযায়ী চাকরি হয়েছে। 

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রঞ্জু আহামেদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার বোন খালেদা ও ভাগ্নির স্বামী মো. মাহাবুর হোসেন তাদের মেধায় চাকরী পেয়েছেন। কোনো অনিয়ম হয়নি বলেও দাবি করেন তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

যেসব চাকরির পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha যেসব চাকরির পরীক্ষা স্থগিত কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সরকার - dainik shiksha কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সরকার উত্তরায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত - dainik shiksha উত্তরায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত ছাত্রলীগ আক্রমণ করেনি, গণমাধ্যমে ভুল শিরোনাম হয়েছে - dainik shiksha ছাত্রলীগ আক্রমণ করেনি, গণমাধ্যমে ভুল শিরোনাম হয়েছে সহিংসতার দায় নেবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন - dainik shiksha সহিংসতার দায় নেবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জবিতে আজীবনের জন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আশ্বাস প্রশাসনের - dainik shiksha জবিতে আজীবনের জন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আশ্বাস প্রশাসনের মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানালেন পলক - dainik shiksha মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানালেন পলক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028560161590576